সুনামগঞ্জে রক্তিনদীতে বালুবাহী নৌকা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র নামে চাঁদাবাজী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ১৫ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের রঙ্গারচর ব্রীজের নিচ দিয়ে রক্তি নদীতে চলতি নৌকা থেকে চাঁদা আদায় বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন মালবাহী নৌযান শ্রমিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী তালুকদার।
গত ৫ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, যাদুকাটা বালু মহাল থেকে বালু ক্রয় করে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। নৌকাভর্তী বালু বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গারচর নামক স্থানে এসে পৌঁছলে একটি চক্র বিআইডব্লিউটিএ’র নামে প্রতি নৌকা/বাল্কহেড থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করছে।
চাঁদা না দেওয়ায় নৌকার মাঝিগন শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ফতেহপুর রঙ্গারচর এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষের কোন ঘাট বা জেটি নেই। এবং দুর্লভপুর থেকে লাওড়েরগড় পর্যন্ত কোথাও বালু উঠা-নামা হয়না। বিআইডব্লিউটিএ এর নীতিমালা লংঘন করে এ চক্রটি প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
নৌযান মাঝিদের হয়রানী ও চাঁদাবাজী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তিনি। মিয়ারচর বালুপাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, প্রতিফুটে ৫০ পয়সা করে চাঁদা তুলে নিচ্ছে রনি, তুফাজ্জল, অলিউর ও রশিদসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চলন্ত নৌকা থেকে চাঁদাবাজী বন্ধের দাবী জানাই।
যাদুকাটা বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমিতি’র সভাপতি আব্দুস সাহিদ বলেন, যাদুকাটা নদীর মধ্যখান থেকে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করে নদীর মাঝখানে নৌকায় লোড করে। এ নদীর বালু ফতেহপুর এলাকায় গেলে চলন্ত নৌকা থেকে বিআইডব্লিউটি এর নামে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।
স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ী জানান, বিআইডব্লিউটিএ ইজারাদারের জন্য প্রতিপালনীয় শর্তাবলীর ৫ নং ক্রমিকে উল্লেখ করা হয়েছে চলন্ত অবস্থায় নৌ-যান হতে শুল্ক আদায় করা যাবেনা, ফতেহপুর এলাকায় চলন্ত নৌ-যান থেকে জোরপুর্বক চাঁদা আদায় করছে প্রভাবশালীরা। বেআইনিভাবে চাঁদা আদায় বন্ধের দাবী জানাই। চাঁদাবাজীর কবল থেকে পরিত্রান পেতে তিনি প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর লিজের শর্তাবলীতে কি উল্লেখ করা আছে সেটা আমার জানা নেই, শর্তাবলী দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।