বোদায় নও মুসলিম নারীর মানবেতর জীবন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের জন্য ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ১৩ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
পঞ্চগড়ে অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন স্বামী পরিত্যক্তা নও মুসলিম মোছা: কল্পনা বেগম (৩৮)। প্রায় দেড় যুগ ধরে ছাপড়া ঘরে এক মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে বসবাস করে আসছেন।
পৃথিবীতে একমাত্র মেয়ে ছাড়া কেউ নাই তার। তিনি বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের বামনপাড়া এলাকার।
কল্পনা বেগম বলেন, তিন বছর সংসার করে মেয়ে সন্তানের জন্মের তিনমাস পর প্রায় বিশ বছর আগে স্বামী তালাক দেয়। অতিকষ্টে মেয়েকে লালন পালন করছি। বর্তমানে মহিলা কওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের দ্বিতীয় জামায়াতে পড়ে মেয়ে, তাকে প্রতিমাসে খরচ ও ফ্রি বাবদ দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা।
এলাকার লোকজনের আর্থিক সহায়তায় কয়েকখানা টিন কিনে জনৈক বেলালের জমিতে ছাপড়া ঘর তৈরী করা হয়। ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে তীব্র শীতের ঠান্ডা বাতাস আর শীত-বৃষ্টিতে সমানে অর্ধাহারে অনাহারে কষ্ট করতে হচ্ছে ওই ঘরে। কিন্তু আগের ধর্মের স্বজনেরা কোন খোঁজ খবর নেননা।
কল্পনা আরোও বলেন, অন্যের জমিতে কাজ করে দিন শেষে যা পাই তা-দিয়ে কোনমতে দিন পার হয়ে যায়। এতদিনে সরকারি সহায়তা কিছু পাই নাই। অনেক ঘোরাঘুরির পরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। মানুষের বাড়িতে পর্দা করে কাজ করতে গেলে নিতেও চায় না।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘরের জন্য ছুটে চলেছেন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে, জমা দিয়েছেন ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। কিন্তু ভাগ্যে জুটেনি কল্পনার ঘর। কোনমতে অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার হলেও মেয়ে নিয়ে শীত বর্ষায় শান্তিতে বসবাসের জন্য একটি আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের দাবি তার।
ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, আমি ঘরের তালিকা করিনাই। কে ঘর পাবে, কে পাবে না সে বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব ভাল জানেন।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. সোলেমান আলী জানান, আশ্রায়ন প্রকল্পে যদি তিনি থাকতে চান তাহলে একটা আবেদন করতে বলেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে, যেখানে খাসজমি আছে সেখানে ঘর করে দেওয়ার চেষ্টা করব।