গাড়ি ঘুরিয়ে দিলেও গাজীপুরে যাত্রী ঢোকা থামছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ২৭ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৫ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় লকডাউন চলা গাজীপুর জেলায় যানবাহন ঢুকতে না দিলেও যাত্রী ঢোকা থামছে না।
আজ শনিবার জেলার প্রবেশমুখ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে সকাল থেকে দুপুরের চিত্র এটি।
জৈনাবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক যাত্রী গাজীপুরে ঢুকছেন এবং গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছেন। ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা জৈনাবাজার। সেখানে গণপরিবহন ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গাজীপুরের সীমানা থেকেই সব ধরনের গণপরিবহন ময়মনসিংহের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। সেসব গণপরিবহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে ময়মনসিংহের সীমানা পেরিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে জৈনাবাজারে ঢুকছেন। জৈনাবাজারে অর্ধশতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। ভেঙে ভেঙে এসব অটোরিকশায় করে অনেকেই ঢাকার দিকে রওনা হয়েছেন। একই সময় জৈনাবাজার এলাকায় কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ভ্যান ও বেশ কিছু মোটরসাইকেলকে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেছেন, অনেক বেশি টাকা খরচ হলেও তারা গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে। মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ত্রিশাল থেকে বাসে করে গাজীপুরের কাছে এসে নেমে গেছেন। এরপর ভেঙে ভেঙে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনায় রওনা হয়েছেন। জসিম উদ্দিন নামের এক কারখানার শ্রমিক বলেন, তিনি ময়মনসিংহ থেকে টঙ্গী যাচ্ছেন। ভেঙে ভেঙে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু ইতিমধ্যে টঙ্গী চলে গেছেন। তবে ভাড়া অনেক বেশি।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, আমরা জৈনাবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে গাজীপুরে গণপরিবহন প্রবেশ ঠেকাচ্ছি। সেখান থেকে কোনো পরিবহনকে গাজীপুরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।