খরার পরে বন্যার হানা বিপাকে বাদাম চাষিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ২৬ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
“মরার পরে খাড়ার ঘাঁ” এবার খরার পরে বন্যার হানা বিপাকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাদাম চাষিরা। এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় পুড়েছে মধুমতির দূর্গম চরাঞ্চালের হাজার হাজার বাদাম চাষির কয়েক হাজার বিঘা জমির বাদাম। এমনিতেই আশানুরুপ ফলন আশঙ্কায় ছিলেন বাদাম চাষিরা।
হঠাৎ বৃষ্টিতে যা’ও আশায় বুক বেধে ছিলেন তা’ও হঠৎ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিপাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাদাম চাষিরা।ইউএসএআইডি-এর আর্থিক সহ-যোগিতায় (এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইস) প্রকল্পের ম্যাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৪শ,বাদাম চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষন দেন।
গত ২০১৬ সালের ৩১জানুয়ারী থেকে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের (সাবেক) উপ-পরিচালক (এভিসি) কৃষিবিদ সুবল কুমার সাহা প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে প্রতি ব্যাচে ২৫জন করে পর্যায় ক্রমে উপজেলার ৪শ,জন বাদাম চাষিকে উন্নত প্রশিক্ষন দেন।
এর মধ্যে রয়েছে বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবড়িয়া,চরমাকড়াইল ও চরখোলা বাড়িয়া। গোপালপুরের দিগনগর,কাতলাশুর ও চা›ঁদড়া।টগরবন্দের নান্দী গ্রাম। বানা ইউনিয়নের বেলবানা এবং পাচুড়িয়া ইউনিয়নের পাচুড়িয়ার চরঞ্চালের বাদাম চাষিরা।
আশা করা হয়েছিল বিগত বছর গুলির তুলনায় দিগুন ফলন হবে। সে আশার গুড়ে বালু দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা ও বন্যার কাছে হার মানতে হয়েছে বাদাম চাষিদের। আর এতে বেশি বিপাকে পড়েছে বর্গা চাষিরা। রুদ্রবানা গ্রামের বর্গাচাষি ইনামুল মোল্যা,শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দুস মোল্যা, চর মাকড়াইলের নুর জালাল,আপান শেখ,আমির শেখ ও খোলাবাড়িয়া গ্রামের বর্গাচাষি তাঁরা মিয়া জানান গত বছর ৫ একর জমিতে বাদাম চাষ করে প্রায় ৬০মন বাদাম্ পেয়েছিলেন।
এবার সবাই ৬-৭একর জমি চাষ করেছেন। রোপনের সময় প্রতিমন বাদাম বীজ তাকে ৬হাজার টাকা দরে ক্রয় করতে হয়েছে, এ ছাড়া জমি চাষ, রোপন ও অন্যান্ন খরচ বাবদ প্রতি একরে প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ ছাড়া একই গ্রামের চান মিয়া ৬একর,মনি মিয়া ৪একর,আব্দুল গাফফর মোল্লা ৫একর, আফতাব মোল্লা ৫একর,তাহাজ্জেত মোল্লা ৬একর নজরুল মেম্বার ৮একর,এ ছাড়া মোঃ আমির হোসেন তার নিজের ১২একর,কবির মোল্লা ৫একর ও ইউনুছ মোল্লা ৬একর। এ ছাড়া পাড়াগ্রামের আকুববর মোল্লা ৬একর, রুহুল মোল্লা ৩একর ও জহুর মোল্লা ৫একর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন এ দের সবারই প্রায় একই অবস্থা।
এ ছাড়া এ উপজেলার সকল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একই দৃশ্য। এর মধ্যে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ্য হয়েছেন বর্গা চাষিরা এরা অনেকেই ঋন নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন।এদের অনেককেই ঋনের টাকা পরিশোধ করতে ভিটে মাটি হারাতে হবে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রিপন প্রসাদ শাহা দিনকালকে বলেন এবার হঠাৎ বন্যায় কৃষকদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। সরকারী সহয়তা পেলে তাদেরকে সহয়তা প্রদানকরা হবে।
এবার আলফাডাঙ্গায় প্রায় ২হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে যার লক্ষমাত্রা ছিল প্রায় ৬শ টন,বিজ পবননের সাথে সাথে বৃষ্টি না হওয়া আর বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হঠাৎ বন্যার কারনে ৩ ভাগের এক ভাগ বাদাম কৃষকের ঘরে তোলা সম্ভাব হবে বলে ধারনা করা হচ্ছো।