নোয়াখালীতে লকডাউন বাড়ল আরও ৭ দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ এএম, ২৫ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউনের সময়সীমা চতুর্থ দফায় আবারও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। এসময় নতুন করে চৌমুহনী পৌরসভা ও বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নকে লকডাউনের আওতায় যুক্ত করা হয়। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। এর আগে তিন দফায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ দিন কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে চলমান লকডাউনের সময়সীমা সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে চৌমুহনী পৌরসভা ও বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নকে যুক্ত করা হয়েছে। ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলা ও চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় সব ধরনের গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। এলাকাগুলোতে ফার্মেসি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ডিসি খোরশেদ আলম খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় ৫-১১জুন লকডাউন দেয়া হয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১২-১৮ জুন দ্বীতিয় দফা লক ডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমন বাড়তে থাকায় তৃতীয় দফায় ১৯-২৫ জুন আবারও লক ডাউন দেয় প্রশাসন।