দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের জের, পুরুষ শূন্য আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ৭ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের জেরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামটি এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানাযায় গত ৪জুন শুক্রবার বিকালে বেড়ির হাট বাজারে দেলোয়ারের চায়ের দোকানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম জালাল উদ্দিনের ভাই ধুলজুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওঃ নিজাম উদ্দিন ও বানা এমএম মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদী সাহেব আলী চা খাচ্ছিলেন এসময় মাওঃ নিজাম উদ্দিনের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে বরকত (২১) ধুমপানরত অবস্থায় চায়ের দোকানে প্রবেশ করে। এসময় ধুলজুড়ি গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া বরকতের বাবাকে বলেন বরকত কি পাগল হয়েগেছে। এ কথা বলার সাতে সাথে বরকত আবুলকে ঘুসি মারে। এক পর্যায় বরকতের বাবা আবুলকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্ত অতি উৎসাহী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানার এস,আই মুন্জুর হোসেন এবং এএসআই জামাল হোসেন সিভিল পোশাকে বরকতদের বাড়িতে গিয়ে বরকতের হাতে হাতকড়া পরায় এসসময় বরকত ক্ষিপ্ত হয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে লাথি ও কিল ঘুসি মেরে হাত কড়া নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে রাতে প্রথমে তার বাবাকেসহ আরো ৭জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম জালাল উদ্দিন আহমেদ ছেলের অপরাধে বাবাকে আটকের বিষয়টি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ তাকেও থানা হাজতে আটকে রাখেন। প্রায় ১৫ঘন্টা আটকের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন এর সুপারিশে চেয়ারম্যানকে ও তার ভাইকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও বাকি ৭জনকে কোর্টে সপর্দ করা হয়।বরকতের বাবা ও এলাকা বাসি জানান। এ ঘটনার পর পুলিশের এসআই প্রশান্ত কুমার বাবু বাদি হয়ে ৪৪জনের বিরুদ্বে ও আরো অজ্ঞাত দেড় শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্বে পুলিশকে মারধরের অপরাধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রামবাসি জানিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করার পুরুষেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএম জালাল উদ্দিন আহমেদ পুলিশের বিরুদ্বে অভিযোগ করে বলেন ওইদিনের ওসি (ভারপ্রাপ্ত) এসআই মিজানুর রহমান কারো প্রয়োচনায় কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া আমার বাড়িতে সিভিল পোশাকে আমার ভাতিজার হাতে হাত কড়া পরানোসহ আমাকে গ্রেপ্তার করে সমাজে আমাকে অপদস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদুজ্জান বলেন ওরা আমার দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেছে বিধায় মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন ওই এলাকায় দির্ঘদিন গোলমাল লেগেই আছে। ওদের শান্ত করার জন্য আমাকে বাধ্য হয়ে এ পথ বেছে নিতে হয়েছে।তবে কাউকে বিনা দোষে হযরানি করা হবেনা।