ভূরুঙ্গামারীতে বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যানেকে পুর্নবহালের দাবীতে সদর ইউনিয়নে তালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ৭ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৫ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানেকে পুর্নবহালের দাবীতে সদর ইউনিয়নে তালা লাগিয়েছে চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।
গতকাল রবিবার রাত ৮টায় প্রায় ৩০ জন নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেকটি কক্ষে তালা লাগিয়ে বারান্দায় অবস্থান নেয়। এর আগে রবিবার বিকেলে ১৫০ থেকে ২০০ নারী পুরুষ ঝাড়ু, লাঠি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ঘেরাও করে। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার পরেই তারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা লাগিয়ে অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্য,গণ উপদ্রব সৃষ্টি ও ফৌজদারী অপরাধে জেলে থাকায় গত ১৭ জানুয়ারী -২০২১ খ্রিঃ তারিখে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উক্ত চেয়ারম্যান মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলে গত ৪ মে -২০২১ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশকে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। এই স্থগিতাদেশের কারণে নিজেকে চেয়াম্যান দাবী করে ইউনিয়ন পরিষদ দখলের চেষ্টা চালায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান,কয়েকজন ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান নেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, গত ৩ জুন বরখাস্তকৃত চেয়াম্যানের নির্দেশে কিছু ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে উদ্যোক্তা ও সচিবকে রুম থেকে বের করে দিয়ে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে যায়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এবং থানায় মামলা দেবার জন্য গেলে রহস্যজনক কারনে এখনও মামলা নেয়া হচ্ছেনা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, উক্ত চেয়ারম্যানকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তাকে পুর্নবহাল করবে ঐ মন্ত্রণালয়। আমরা পুর্নবহালের কোন চিঠি পাইনি।
ওসি আলমগীর হোসেন জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান এখনো কোন এজাহার দাখিল করেন নাই। এজাহার দাখিল করলে মামলা নেয়া হবে। বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছে।