জনগণের দাবী একটাই হাসিনার পদত্যাগ : শাহজাহান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাহান বলেছেন, জনগণের দাবী একটাই হাসনিার পদত্যাগ। বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গণআন্দোলন চলবে। ইভিএমের কারচুপির নির্বাচন জনগণ বুঝে গেছে। তাই সরকার নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে বলতে চাই এবার কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক শক্তি বাংলার মানুষ জেগে উঠেছে। বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেনা।
আজ শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবী আদায়ে রংপুর বিভাগীয় গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু’র সভাপতিতে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুহিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস ভোট চুরিকরার ইতিহাস। এই দল টি তার পিতার নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়ে ভোট চুরির ইতিহাস সৃস্টি করেছে। সেই ধারাবহিকতায় দেশে এখন ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ভোটের জন্য মুক্তিযুদ্ধে করেছিলো। দেশের জনগণ অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে জানে না। আপোষ করবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে দেশের গণতন্ত্র বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সাম্য, সমাজিক মর্যাদা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল।এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অথচো এই সরকার তিনবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে ষড়যন্ত্রমূলক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহ বন্দী করে রেখেছে। কিন্ত এতেও হাসিনা সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। বাংলার জনগণ সকল গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতনের জবাব দিবে।
বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওশাদ জামির বলেছেন, এই সরকার নিজেদের গদি রক্ষার জন্যে বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করছি। তাদের পররাস্ট্রমন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বিদেশীদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিচ্ছে। কিন্ত বিদেশীরা এই সরকারকে আর বিশ্বাস করেনা। তারা দেশে একটি অবাধ নিরেপেক্ষ অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন দেখতে চায়।
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, সরকারের হুকুমে রংপুরের পুলিশ সমাবেশের মঞ্চ তৈরী করতে দেয় নাই। সমাবেশে আসতে পথে পথে পুলিশ নেতাকর্মী জনগণকে বাঁধা দিয়েছে। পুলিশ ভাইদের বলতে চাই আইনের রক্ষক হয়ে আইন হাতে তুলে নিবেন না। সংবিধান বিরোধী কোনো কার্যকালাপ করবেন না। আগামীতে বিএনপির সাংবিধানিক শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে বাঁধা দিলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। এর জন্য কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার দায় বিএনপি নিবেনা।
মহানগর ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন ও আনিছুর রহমান লাকুর সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির গ্র্যাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান বাবু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দিনাজপুরের পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, নিবাহী কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য এ জেড এম মর্তুজা চৌধুরী তুলা, এ জড এম রেজাওয়ানুল হক, মোঃআকতারুজ্জামান মিয়া, মিসেস রেজিনা ইসলাম, মিসেস বিলকিস ইসলাম, সাইদা রহমান জোস্না, ফরহাদ হোসেন আজাদ, ব্যারিষ্টার রাজিব হাসান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বিএনপির গণ সমাবেশ এর জন্য কোনো মাঠ প্রশাসন থেকে বরাদ্দ না দেয়ায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে দলটি। যার ফলে সমাবেশ চলা কালে রংপুর মহানগরীর প্রধান সড়কের জাহাজকোম্পানীর মোড় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ১ কিলোমিটারের অধীক রাস্তার দু‘ধারে প্রায় লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়। নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।