ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, প্রতিবাদে হামলা ও ভাঙচুর

ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে পরবর্তিতে হাসপাতালে মারা যান জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৯) নামে এক ব্যাক্তি। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি হামলার শিকার হয়ে আহত হন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছিলে রাতে জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ঘর বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জাহাঙ্গীর মিয়া উপজেলার কামালদিয়া  ইউনিয়নের মাকরাইল গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। তিনি (জাহাঙ্গীর) মধুখালী রেলগেট এলাকায় গাড়ির খুচরো যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন।

এলাকাবাসী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে একটি রিক্সা ভ্যানে করে মধুখালী-মাকরাইল আঞ্চলিক সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর। তার রিক্সা ভ্যানটি বাড়ির সন্নিকটে রাজিব হোসেনের বাড়ির কাছে পৌঁছিলে ১০/১২ জনের একটি দল প্রথমে লাঠি দিয়ে ভ্যানে বসে থাকা জাহাঙ্গীরকে আঘাত করলে তিনি সড়কে পড়ে যান। তারপর হামলাকারীরা তাকে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথরি ভাবে পিটিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করে। সেখানে চিকৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মারা যান জাহাঙ্গীর।

জানা গেছে, কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি চেযারম্যান হাবিবুল বশার ও ওয়ালিদ হাসান মামুন চাচাতো ভাই। তারা পরস্পর প্রতিদন্দ্বী। গত ইউপি নির্বাচনে দুইজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে হাবিবুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।  

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। মৃত জাহাঙ্গীর হাবিবুলের সমর্থক। গত রমজান মানে তিনি (জাহাঙ্গীর) তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মামুনের দুই সমর্থককে মারপিট করে।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসের মারের জের ধরে গত শনিবার জাহাঙ্গীরের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর মারা গেছেন শনিবার দিবাগত রাতে এ খবর জানা গেলে তার সমর্থকরা মামুনের ৮/১০জন সমর্থকের বাড়িতে হামলা করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।