নারী পুলিশ কনস্টেবলের আপত্তিকর ভিডিও প্রচারকারী হৃদয় গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৩ এএম, ৫ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৭ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রপ খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় খান নামে এক যুবককে আসামি করে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা এবং কক্সবাজার জেলায় কর্মরত আছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবকের ব্যাপারে বলা হয়, হৃদয় খানের বাড়ি ঢাকার মগবাজার এলাকায়। হৃদয় ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে হৃদয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। হৃদয় খান তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে বিভিন্ন কথোপোকথন ও আপত্তিকর কিছু ভিডিও আদান-প্রদান করে, যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে।
মামলার এজহারে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও অভিযোগ করেন, হৃদয় তার অজান্তে তার সঙ্গে কাটানো একান্ত অন্তরঙ্গ সময়ের কিছু ঘনিষ্ট মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হলে হৃদয় তার ব্যক্তিগত জি-মেইল এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করে।
পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটস অ্যাপে ‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রপ খুলে সেখানে ওইসব আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি আপলোড দিলে তা ভাইরাল হয়। এতে সামাজিকভাবে ও কর্মস্থলে সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ওই নারী পুলিশ সদস্য দাবি করেন।
মামলার এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ জুন বুধবার ছুটি পেয়ে কক্সবাজার থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় হোয়াটসঅ্যাপে চালু করে দেখেন ‘বিডি পুলিশ’ গ্রপে হৃদয় তাদের গোপন আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। পরে তিনি পরিবারের সদস্য ও কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় গিয়ে আইনের সহায়তা চান।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে মামলা দায়েরের পরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত যুবককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।