নিহত চিকিৎসকের পিঠে-গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৭ এএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান (৪৭) নামের এক চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। নিহতের পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাবিরার লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি তদন্ত করতে যায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় ডিবি পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক বলেন, ডা. সাবিরা ৫০/১ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি ফ্ল্যাটের দুটি রুম অন্য একজনকে সাবলেট দিয়েছেন। সকালে সাবলেটে থাকা তরুণী কানিজ ফাতেমা হাঁটতে বের হয়েছিলেন। পরে ঘরে ফিরে দেখেন চিকিৎসক সাবিরার রুম বন্ধ। রুমের ভেতর থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। এ সময় তিনি দারোয়ানকে ডেকে চাবি এনে তালা খুলে দেখতে পান চিকিৎসক নিচে পড়ে আছেন। সবাই ভেবেছিল চিকিৎসক আগুনে পুড়েছে। পরে ডিবি এসে তার গলায় একটি ও পিঠে দুটি আঘাতের চিহ্ন পায়। তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত রহস্য উদঘাটন করবো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিস্তারিত তদন্তের পরই বলা যাবে।
কবির হাসান নামে নিহতের এক আত্মীয় জানান, ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপি এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তার এক ছেলে (২১) ও এক মেয়ে (১০) আছে। তারা গ্রিন রোডে তাদের নানীর বাসায় থাকে। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে। তবে ওই বাসায় গিয়ে জানা যায়, তিনটি কক্ষের মধ্যে একটিতে তিনি একাই থাকতেন। বাকি দুটি কক্ষে সাবলেট দিয়েছিলেন। বাড়ির মালিক মাহবুব ইসলাম বলেন, সাবলেট দেয়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। লাশ উদ্ধারের পর জানতে পারি বাকি দুটি কক্ষ তিনি অন্যজনের কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন।