পীরগঞ্জে ছাতুয়া মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১০ এএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ছাতুয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিষয়ে তদন্ত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩১ মার্চ) উক্ত মাদ্রাসায় এলাকাবাসী, অভিযোগকারী, মাদ্রাসার সুপার, কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অভিযোগের তদন্ত করেন পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মন্ডল।
অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসাটির সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসাটিতে জমিদাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে হারুনার রশিদ ও তার স্ত্রীকে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বিগত ০২/০৪/২০ ইং তারিখে ৪ লাখ টাকা গ্রহন করেন। পরবর্তিতে উক্ত সুপার আয়া পদে ছাতুয়া গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রী কলসুমা খাতুন এর কাছ থেকেও ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে হারুনার রশিদ উক্ত সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার কাছে চাকুরির জন্য ১৬ লাখ টাকা দাবী করেন। এ ছাড়া মাদ্রাসাটিতে জমি দাতা আলহাজ্ব লুৎফর রহমানকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসাটির ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২১ ফুট প্রস্ত একটা পুরাতন ভবন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। মাদ্রাসাটিতে জনৈক জহুরুল হককে চাকুরি দেয়ার কথা বলে সুপার প্রায় ৭ বছর পূর্বে ১ লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। বিনা বেতনে মাদ্রাসায় দায়িত্বও পালন করেছিলেন জহুরুল। পরবর্তিতে তাকে চাকুরি কিংবা টাকা ফেরত কোনটিই দেয়া হয়নি। উপরোক্ত অভিযোগ ছাড়াও উক্ত সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো, এলাকাবাসীর সঙ্গে অসদাচারন সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এ সব অভিযোগের ব্যাপারে এলাকাবাসীর অনেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয় থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ তদন্তের ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মন্ডল বলেন, তদন্তে অনেকের কথা শুনেছি এবং পর্যাপ্ত কাগজপত্র পেয়েছি। সে গুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে। এখনেই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।