আ'লীগের সভাপতি-সম্পাদকের দন্দ, কর্মী গুলিবিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২২ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় সোহেল রানা লেনিন (৩৮) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৫ মে) রাত পৌনে ১০ টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বাজারে সায়েক আলী ওরফে করিমের দোকান এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি চাপাইগাছি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের (সাবেক মেম্বর) ছেলে এবং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খানের নিকটতম আত্মীয়। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে এঘটনার পরে রাত ১১ টা ৩ মিনিটের দিকে একই ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়া মাঠে দুইরাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বুধবার রাতে হোগলা বাজারের সায়েক আলী ওরফে করিমের মুদি দোকানে বসে ছিল লেনিন, বাকু ও করিম। রাত পৌনে ১০ টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত চার জন দোকানের সামনে দাঁড়াই। পরে অজ্ঞাতনামারা দোকানীর নিকট পানি চান। এসময় লেনিন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোঁপ মারে। তখন লেনিন বাম হাত দিয়ে ঠেঁকাতে গেলে আঙ্গুল কেটে পরার উপক্রম হয়। এরপর লেনিন একজনকে পিছন থেকে চেপে ধরলে ওরা গুলি করে পালিয়ে যায়।
অজ্ঞাতনামাদের ছোড়া গুলি লেনিনের দুই পায়ের হাটুর নিচে লাগে। এতে লেনিন গুরুতর অসুস্থ হলে স্বজনরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে আহত সোহেল রানা লেনিন বলেন, করিমের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ ৩ থেকে ৪ টি মোটরসাইকেল যোগে হান্নান, মেহেদী, ফিরোজ, আতিয়ার সহ ৪ থেকে ৫ জন দোকানে আসেন। এসে আমার হাতে কোপ মারে। এসময় আমি ওদের ধাক্কা দিয়ে পালাতে গেলে হান্নানের নেতৃত্বে প্রথমে মেহেদী এবং পরে মিজান গুলি করে।
তিনি আরো বলেন, ওরা ছয় রাউন্ড গুলি করে। আমার দুই পায় তিনটি গুলি লেগেছে। আমি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
জানা গেছে অভিযুক্ত ফারুক আজম হানান জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আর মেহেদী হান্নানের সমর্থক আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশার ছেলে। তবে অভিযুক্ত অন্যান্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এবিষয়ে অভিযুক মেহেদী মুঠোফোনে বলেন, খবর শুনেই বুঝতে পেরেছি আমার দোষ হবে। কিন্তু এটা মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি মহেন্দ্রপুর বাজারে ছিলাম।
জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খান বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার নিকটতম আত্মীয় ও আওয়ামীলীগ কর্মী লেনিনকে প্রথমে কোপায় এবং পরে দুই পায়ে গুলি মেরে গুরুতর আহত করে।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, লেনিন নামের একজন হাতে কোপ ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালাতে পারে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য যে, আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।