ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৮ এএম, ৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংবিধানিক অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। শনিবার বিকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত : সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির বিগত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
১. সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাননীয় চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন এবং তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান যে, পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর কোনো জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।
২. সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোরের গণমাধ্যমে প্রদত্ত সাক্ষাৎকার বিষয়ে আলোচনা হয় এবং তার ওপরে, তার বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী লেখক মুশতাক আহমেদসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক বন্দিদের ওপরে আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক যে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়, সভা তাতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এই ধরনের আটককৃত অবস্থায় অমানবিক পাশবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এই আইনের আওতায় আটককৃত সকল বন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের আহŸান জানানো হয়। সভা মনে করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংবিধানিক অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। সভায় গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানানো হয়। এই আইন গণতন্ত্র বিরোধী এবং মানবতা বিরোধী হওয়ায় বাতিলের দাবিতে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিষয়ে পরবর্তীতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সংশ্লিষ্ট অঙ্গ-সংগঠন ও মূল দলের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচির তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩. সাম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের ঢাকা সফরকালীন সময়ে প্রদত্ত বক্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রেস বিফ্রিং-এর মাধ্যমে বিএনপির অবস্থান গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৪. সাম্প্রতিককালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও বেআইনিভাবে সরকারের হস্তক্ষেপ চরমভাবে এই নির্বাচনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় আসন্ন অবশিষ্ট পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনগুলোতে অংশ গ্রহণ না করবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৫. আগামী ৮ মার্চ বিশ^ নারী দিবস যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
৬. সভায় সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
৭। সভা শেষে সভাপতি উপস্থিত সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা মুলতবী ঘোষণা করেন।