বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৯ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আওয়ামী সরকার শুরু থেকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এখনো সে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা, বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ এক সূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধে তার যে ভূমিকা তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ফ্যাসিবাদ এ সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই মাফিয়া ও স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের পতনের দাবিতে অচিরেই রাজপথের আন্দোলনের ডাক আসবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন অনিবার্য। ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) জালাল উদ্দিন মজুমদার।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক এম. এ. খালেক, এয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, পৌর বিএনপির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তপন কর, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মীর ঈদ্রিস বর্তন, ফেনী জেলা জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. কায়সার এলিন, ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিলন।
রংপুর : স্টাফ রিপোর্টার,রংপুর জানান, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বাংলাদেশের ইতিহাস । এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। যতদিন এ দেশ স্বাধীন থাকবে ততদিন জিয়া রবে মানুষের হৃদয়ে। যারা এ নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, তারাই একদিন হারিয়ে যাবে। দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুজ্জামান সাম আজ বুধবার খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রংপুরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় সরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা করে নেতৃবৃন্দ পুলিশকে সংবিধানের রক্ষক হওয়ার আহ্বান জানান। তারা পুলিশ বাহিনীকে জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে সংবিধানে গৃহীত নাগরিক অধিকার হরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদা রহমান জ্যোতি, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিজু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাহান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, মির্জা বাবার বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন, কৃষক দল সভাপতি শাহনেওয়াজ লাবু, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সুমন প্রমুখ। বক্তাগণ শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিল করা হলে এর পরিণাম ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ সময় তারা বলেন, তাঁবেদারি রাজ্য কায়েম করার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কারণ জিয়া স্বাধীনতার প্রতীক ।
তাই রাতে জনগণের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলকারী এই সরকার এখন প্রভুদের হুকুম তামিল করছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের সেই স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হতে দিবে না।
রাজশাহী : স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন এদেশের গণমানুষের নেতা। তিনি জন্মেছিলেন বলে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামে একটি দেশ পেয়েছে। তাঁর ডাকে সারা বাংলার মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের কারণে সে সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান মেজর জিয়াকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। আর যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে বসে মদ ও নারী নিয়ে মাস্তি করেছিলেন, তারাই আজ দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার ষড়যন্ত্র করছে। জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসে একটি প্রাণ বেঁচে থাকা পর্যন্ত কারো ক্ষমতা নাই জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার। আর এটা যদি হয় তাহলে দেশে আগুন জ্বলবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজশাহী জেলা ও মহানগরের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, জিয়া হচ্ছে রেডিয়ান্ট। সারা জীবন জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকবে। খেতাব বাতিল করে মানুষের মন থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলতে পারবেন না। আর যদি করা হয় তাহলে সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসের ন্যায় দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই বিনা ভোটের সরকারকে বিতাড়িত করা হবে। তিনি বলেন, বীর যোদ্ধারা সর্বদা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। গুলি লাগলে মাথা কিংবা বুকে লাগে। আর কাপুরুষদের পিছনে লাগে। আওয়ামী লীগ সেটাই করছে। তিনি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আগামী ১ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনে বাধা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে রাজশাহীতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এই সমাবেশ রুখতে পারবে না। আর এই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে বলে জানান মিনু।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য বক্তা বলেন, এই সরকারের আমলে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করে একটি নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন বলে জানান তারা। সেই সাথে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি জাহান পান্না, সদস্য সদর আলী, মকবুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মিডিয়া কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদা হাবীবা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা।
উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুল হক মন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, পুঠিয়ার মেয়র মামুন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, সদস্য সচিব নাজমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলম মাস্টার ও মেজবাউল হক এবং মহানগর কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম সালাম রোজ।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তারেক, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যক্ষ সখিনা খাতুন, গুলশান আরা মমতা, রোজি ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
এছাড়াও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকী, রাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহি ও মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ও ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে প্রেসক্লাবের পেছনে ভাষা সৈনিক সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, অ্যাড. রফিক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আওলাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অহিদুল হক খান ছক্কু, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলুসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউসুফ খান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন ভারতে বসে ছিলেন তখন জিয়াউর রহমান দেশের মাটিতে বসে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় তাকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেই খেতাব বাতিল করতে চায় সরকার। যারা একজন মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল করতে চায় তারা সবচেয়ে বড় রাজাকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের খেতাব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি নেতারা। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘এক মাঘে শীত যায় না। ক্ষমতায় কেউ চিরদিন থাকে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস ভুলে যাবেন না।’
পাবনা : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা সাজা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাবনা জেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠন।
আজ বুধবার দুপুরে পাবনা জেলা বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পাবনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় ও দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান তোতা, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ তৌফিক হাবিব. একেএম মুসা, হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, আনিসুল হক বাবু, আবু বকর সিদ্দিক মকু, জেলা বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আশিফ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সন্জু, মৎসজীবী দলের সভাপতি আজম প্রাং, পৌর বিএনপির আরিফ খান, কামাল হোসেন, আব্দুস কুদ্দুস, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, যুগ্ম-সম্পাদক সাইদুর রহমান রূপম, প্রচার সম্পাদক ফারুক হোসেন সুজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম পিকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কারুজ্জামান প্রিন্স প্রমুখ। এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা, পাবনা সদর উপজেলা বিএনপি, পাবনা সদর পৌর বিএনপি, জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদল, জেলা মহিলা দল, জেলা মৎস্যজীবী দল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল ও পাবনা সদর উপজেলা ও পৌর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছসেবক দলসহ নেতাকর্মীরা ।
গাজীপুর : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গাজীপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বিএনপি সরকার বীর উত্তম খেতাব দেয় নাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের কারণে এই খেতাব পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে বিপদের দিকে পরিচালিত করছে। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। এই সরকারকে কলঙ্কের বোঝা বহন করে বিদায় নিতে হবে।
রাজবাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি নেতা শাহজাহান ফকির। মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি প্রফেসর নজরুল ইসলাম, জিএস আনোয়ারুল ইসলাম, ভিপি আশরাফ হোসেন টুলু, খলিলুর রহমান চেয়ারম্যান, শাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, শওকত হোসেন সরকার, প্রভাষক বসির উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম মনির, শাহাদাত হোসেন শাহিন, ইয়াসিন মোল্লা, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, বাসন থানা বিএনপির সভাপতি বসির আহমেদ বাচ্চু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রাজু, মহানগর বিএনপির গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মুসুল্লী, নাহিন আহমেদ মমতাজী, জয়নাল আবেদীন রিজভী, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম টুটুল, আক্তারুল আলম মাস্টার, এস এম আবুল কালাম আজাদ, হাসিবুর রহমান মুন্না, মনিরুল ইসলাম বাবুল, ফারুক হোসেন খান, আজিজুল হক রাজু মাস্টার, তাজুল ইসলাম বেপারী, মইজ উদ্দিন তালুকদার, এমারত হোসেন মুসুল্লী, আতাউর রহমান আতিক, মামুনুর রশিদ মামুন, রাতুল ভূইয়াসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধা : সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ বুধবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুজ্জামান শহীদ, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক খন্দকার ওমর ফারুক সেলু, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলমগীর সাদুল্যা দুদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেলিম, ফুলছড়ি থানা বিএনপির আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম নান্নু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোকছুদার রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পৌর কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু, জেলা বিএনপির সহ-মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জিম, জেলা বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কার্জন চৌধুরী, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুনান হক্কানী, জেলা বিএনপির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা, দফতর সম্পাদক শফিকুর রহমান খোকা, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার জাহেদুন্নবী তিমু, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার ইউনুস আলী দুখু, সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক ইমাম হাসান আলাল প্রমুখ। বগুড়া: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভাকেট একেএম মাহবুবর রহমান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র করে সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোনোক্রমে লেখা সম্ভব হবে না। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছেন, ইতিহাস যারা লেখবেন সত্যকে মেনে নিয়ে লেখবেন। এদেশে ২৫ মার্চের আগে স্বাধিকারের আন্দোলন হয়েছে, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন হয়েছে, পাকিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দালন হয়েছে কিন্তু জিয়াউর রহমানই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছেন। তাকে নিয়ে টানাটানি করে আগুন নিয়ে খেলছেন। আপনাদের হাত পুড়ে যাবে, ছাই হয়ে যাবে। এই খেতাব কেউ দেয় নাই, এই খেতাব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ যারা পেয়েছেন তারা অর্জন করেছেন। এই খেতাবের ওপরে হাত দেয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের চিন্তা করা হলে এই সরকার হাত জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিগত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করা হয়েছে। আজকে এই জন্যই এই সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সেক্টর কমান্ডার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর উত্তম, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলেছি এই সরকার যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের চিন্তা করে তবে এই সরকারের হাত জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, এই সরকারের সাথে জনগণ নেই। এই জন্যই এই সরকার জনগণকে ভয় পায়। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার ভোট ডাকাতির সরকার, এই সরকার ভোট জালিয়াতির সরকার, এই সরকার মিডনাইট সরকার, এই সরকার অনৈতিক সরকার, এই সরকার মাফিয়া সরকার, এই সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকার সংসদকে ধ্বংস করে দিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলালের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, তৌহিদুল আলম মামুন, সহিদ উন নবী সালাম, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, বিএনপি নেতা আলী হায়দার তোতা, বগুড়া জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, গাবতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন মোল্লা, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ আকরাম হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রাসেল মামুন, গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন, কাহালু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা যুবদল নেতা আহসান হাবিব মমি, আদিল সাহারিয়া গর্কী, সৌরভ হাসান শিপলুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জামালপুর : স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মুক্তিযোদ্ধের খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন। সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল, রিজভী আল জামালী রনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ খান লোটন, শফিকুল ইসলাম খান সজিব, গাউসুল আজম শাহীন, রফিকুল ইসলাম রফিক, শহর বিএনপির সদস্য সচিব শাহ্ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সোবহান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা খান ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিম।
মানিকগঞ্জ : মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ বুধবার সকালে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জেলা শহরে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশীদ খানের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তোজার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আতাউর রহমান আতা, সদস্যসচিব এস এ জিন্নাহ কবির, যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, আফম নুরতাজ আলম বাহার, মোতালেব হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মুকুল, আব্দুল কুদ্দুস খান, মজলিশ মাখন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদ কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, রিয়াজ মাহমুদ হারেজসহ বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের জেলা ও থানার সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ।
নেত্রকোনা : স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার নেত্রকোনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকাল ১১টায় ছোটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোঃ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদুর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, যুগ্ম আহবায়ক বজলুল রহমান খান পাঠান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন খান মিল্কী, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল হক খান আনিস, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিউর রহমান মশু, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল হক চৌধুরী সুজন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সবুজ, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানভীরুল ইসলাম রাজন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন, এসএম দেলোয়ার হোসেন, শামসুল হুদা শামীম, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সৈয়দ মোখশেদুল ইসলাম রাজীবসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।