আ.লীগের রক্ত-মাংসে ফ্যাসিজম মিশে আছে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৪৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট) মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, আওয়ামী লীগের রক্ত-মাংস-অস্থিতে ফ্যাসিজম মিশে আছে। তাই আওয়ামী ফ্যাসিজম রুখে দিতে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, শাপলাচত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশে হত্যাকাণ্ড করেছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হাসিনার ইতিহাসই হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস নয়, স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবুর রহমানও হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। দেশে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা চালিয়েছিল।
তিনি আরোও বলেন, শেখ মুজিব চারটি পত্রিকা বাদে দেশের সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছিল। ইতিহাসের পটপরিক্রমায় আজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিই বাংলার মাটিতে অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর করে বিনা ভোটে টানা চারবার ক্ষমতা দখল করেছে। ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার স্বপ্নে বিভোর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা রক্ষার জন্যই দেশপ্রেমিক চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যাসহ আওয়ামীবিরোধী দেশের সচেতন হাজারো মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। আয়না ঘরের জন্ম দিয়েছে।
আজ শনিবার মৌলভীবাজর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজিয়ে প্রচার করছে। ভারতের উগ্র হিন্দুদের আমাদের দেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসন আমলের চাইতে দেশের হিন্দুরা এখন ভালো আছে শান্তিতে আছে। তাদের প্রতি কোনো অত্যাচার করা হচ্ছে না। মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম সুসম্পর্ক নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। দেশের মানুষকে তাই সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশাররফ হোসেন বাদশা, ওয়ালি সিদ্দিক, এডভোকেট আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, আশিক মোশাররফ, মো: মহসিন মিয়া মধু, হেলু মিয়া, বকসী মিসবাউর রহমান, মতিন বকস্, ফকরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, মাহমুদুর রহমান, আবুল কালাম বেলাল, আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, গাজী মারুফ, সেলিম মো: সালাউদ্দিন, দুরুদ আহম্মদ, আনিসুজ্জামান বায়েছ প্রমূখ।
কর্মীসভা পরিচালনা করেন স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী ও মাহবুব ইজদানী ইমরান। উপস্থিত ছিলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফি, মো: আবুল হোসেন, অলি আহমদ খান ও ইকবাল পারভেজ চৌধুরী।