১০ জানুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশে পেশাজীবীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের আহবান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২২ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
১০ জানুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশে পেশাজীবীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম
আজ সোমবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পেশাজীবীদের এক সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘১০ তারিখে ঢাকায় সমাবেশ। এই সমাবেশের দিকে সারাদেশের সমস্ত মানুষ তাঁকিয়ে আছে, তেমনি সারা পৃথিবীর মানুষ তাঁকিয়ে আছে। এই সমাবেশকে আমাদের যেকেনো মূল্যে সফল করতে হবে, যেকোনো মূল্যে। ঢাকার সমাবেশ সফল করার জন্য আমাদের নেতৃবৃন্দরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তারা মানুষের কাছে যাচ্ছে প্রচন্ড বাধা-বিপত্তি, ধরপাকড় শুরু হয়েছে। তাকে উপেক্ষা করে এই কাজগুলো করছে।”
‘‘আমরা যেটা আশা করব আমাদের যারা পেশাজীবী আছেন, বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের ওপরে মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনী অনেকটা নির্ভর করে তাদের কথা-বার্তার উপরে বা তাদের কাজে। তাদের অংশগ্রহণ, শুধু তাদের নয় সবাইকে নিয়ে অংশগ্রহণ এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে।”
বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা এদেশের মানুষের সাথে আছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি এই কাজটা আমাদের পেশাজীবীরা বুদ্ধিজীবীরা বরাবর করেছেন। দেশের প্রতিটি সংকটময় মুহুর্তে তারা সামনে এগিয়ে এসেছেন। আবারো তারা সামনে এগিয়ে আসবেন।”
‘‘আমি বলতে চাই, এটা আজকে আমাদের জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন। শুধু বিএনপির নয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নয়, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নয়, আমরা যারা বিএনপি করি তাদের নয়। জাতিকে যদি রক্ষা করতে চাই, তাকে যদি আমরা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌ্মত্ব রক্ষা করতে চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই তাহলে ১০ ডিসেম্বর আমাদেরকে সফল শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করতে হবে।”
ঢাকার আগে নয়টি বিভাগীয় সমাবেশ সফল হওয়ার কথাও তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘গোটা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ১০টা বিভাগীয় গণসমাবেশ। ৯টি আমরা সফল করেছি, এদেশের মানুষ সফল করেছে শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে। নদী সাঁতরিয়ে পার হয়ে, ভেলাতে চড়ে, সাইকেলে চড়ে, ১০০ মাইল সাইকেলে চড়ে এসে চিড়া-মুড়ি-গুড় দিয়ে তিনরাত কাটিয়েছে তারা সমাবেশ স্থলে।”
‘‘তাদের কারো চোখে ক্রান্তি ছিলো না, কোনো কম্পেইল ছিলো না। শত কষ্ট করে খোলা আকাশের নিচে থেকে তাদের যে আকুতি গণতন্ত্রের জন্য, তাদের যে আকুতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সেই আকুতি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছে।”
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে পেশাজীবী নেতাদের নিয়ে সভা হয়। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক সদরুল আমিন, আনহ আখতার হোসেন, ফরহাদ হালিম ডোনার, একেএম আজিজুল হক, তাজমেরী এস ইসলাম, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল কুদ্দুস, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মামুন আহমেদ, আবদুস সালাম, সেলিম ভুঁইয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শামসুল আলম, রাশিদুল হাসান হারুন ও আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাস, প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপ-সমন্বয়কারী আমান আমান, আবদুস সালাম ও আবদুস সালাম আজাদ ১০ ডিসেম্বরে সমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
এছাড়া পেশাজীবীদের মধ্যে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল লতিফ মাসুম, সিদ্দিকুর রহমান, গোলাম হাফিজ কেনেডি, কামরুল আহসান, এমতাজ হোসেন, একেএম রুহুল আমিন, সারোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোর্শেদ হাসান খান, শাহনাজ সরকার রানু, ডা. রফিকুল ইসলাম, হাছিন আহমদে, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, পারভেজ রেজা কাকন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম, আশরাফ উদ্দিন বকুল, কেয়া চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফখরুল আলম, জাহানারা বেগম, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।