৪ ফেব্রুয়ারির ময়মনসিংহের সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম চায় বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩০ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:২৩ পিএম, ৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের বিভাগীয় সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে আগামী দিনে সরকার পতনে কঠোর আন্দোলনের বার্তা দিতে চায় বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে দিনরাত প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির র্শীষ নেতারা।
নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য কমানো, বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি, অবৈধ সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ইতিমধ্যে গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর মাসকান্দা এলাকার পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট মাঠে এই সমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। ফলে মঞ্চ প্রস্তুতসহ সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, এখনো বিএনপির সমাবেশ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
দলীয় সূত্র জানায়, সমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে বিভাগীয় পর্যায় থেকে শুরু করে কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের সাথে প্রস্তুতি সভা করে প্রতিদিনই বিরামহীন ভাবে প্রচারপত্র বিলি করে পথযাত্রা করছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন বাঁধা বা প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও সমাবেশের জনস্রােত ঠেকাতে পরিবহনে বাঁধা দেওয়া আশঙ্কা করছেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন জানান, সমাবেশকে সামনে রেখে সব জেলায় প্রশাসনের বাঁধা না থাকলেও নেত্রকোনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রচার ও প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে শেরপুরে জেলায় চারটি গায়েবী মামলা দায়ের করে শত শত নেতাকর্মী আসামি করে ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মূলত সমাবেশে জনস্রােত ঠেকানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে দাবি করে এই বিএনপি আরও বলেন, আমরা আশা করছি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রশাসন এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে সরে আসবেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সারাদেশে একই দিনে দশটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এলক্ষ্যে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা স্থানীয় নেতাদের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি সভাসহ জেলা, মহানগর, উপজেলার ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিদিনই প্রদযাত্রা করে প্রচার ও প্রচারণায় জনগণকে দাওয়াত দিচ্ছেন। এতে সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাঁড়া মিলছে। আশা করছি বিএনপির এই জনদাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহন করবে।
এ সময় পরিবহনে বাঁধা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কোনো আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো দৃশ্যমান কোনো বাঁধা আসেনি। আশা করছি স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশ সফল করতে সহযোগীতা করবেন।