সরকার লোভের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ২৬ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৮ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে তার নির্দেশের বাইরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজ মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এখানে বর্তমান সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে এবং যেটা আমরা আগেই বলেছিলাম যে, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। কারণ আওয়ামী লীগ যেটা করেছে গত তিনটা টার্মে –এটাকে একটা নির্বাচনী গণতন্ত্র বলে তারা নাম দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং গণতন্ত্রের একটা মুখোশ পরে রাখে, আরেক দিকে নির্বাচন মুখোশ দেখিয়ে ক্ষমতাটাকে ধরে রাখে। যেটা অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হাইব্রিড রেজিম বলেছেন। এই হাইব্রিড রেজিমের ফলে জনগণ তার ভোটাধিকার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হচ্ছে। তার অর্থই হচ্ছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন- নির্বাচন কমিশনের কোনো অধিকারই নেই, সম্ভব না, তার এখতিয়ারই নেই যে এখানে তারা সরকারের যে নির্দেশ সেটা ছাড়া তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে। মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচন হবে সময়মতো। বর্তমান কমিশন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এসেছে, ডিগবাজি নয়।
সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘এই সরকারের নীতি একটাই- তা হচ্ছে জনগণের সম্পদ লুট করে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করা এবং বিদেশে সেই সম্পদ পাচার করা। যারা এই ধরনে নীতি অনুসরণ করে দেশের সম্পদ লুট করেছে সেই রকম দেশের নজির আছে। অতি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাতে সেইরকম ঘটনা ঘটেছে। জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে এসে তাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে যারা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেই প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিস্টারকে তারা সরিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। একইভাবে নাইজেরিয়া ও ভেনেজুয়েলাতে একই অবস্থা আমরা দেখেছি। সরকারের যখন উদ্দেশ্যই হয় জনগণের সম্পদ লুট করে তখন কিন্তু সেই অর্থনীতি টেকসই হয় না। সেকারণে আয়-বৈষম্য বাড়তে থাকে। আজকে আমাদের দেশে এক শ্রেণির মানুষ অনেক বড় লোক হয়ে গেছে তাদের সম্পদ পাহাড়ের মতো হয়েছে, আরেক শ্রেণির মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে- এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে অতি দ্রুত এই অর্থনীতি ভেঙে পড়ার সম্ভ্বানা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বিদ্যুতের এই পরিস্থিতির জন্য ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার কথা আবারো ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।
বিএসএফের ডিজির বক্তব্যেরে প্রতিবাদ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশের সবাই অপরাধী- এই মন্তব্যে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) মহাপরিচালক নীরব থাকায় তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিএনপি মনে করে, সীমান্তে গুলি করে হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ অপরাধী হলেও তার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য আমরা দাবি করছি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অপরাধের সাথে ছাত্রলীগ অভিযুক্তের ঘটনায় ক্ষোভ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের এই ধরনের ন্যক্কারজনক, অসামাজিক কার্যকলাপকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মদদ দেয়া হয় বলে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘট্যেছ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশে দরিদ্রতার হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক ৪ জন গণতন্ত্র কর্মীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করায় নিন্দা জানানো হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
সরকার লোভের কারনে আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয় : ১। সভায় বিগত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায় বর্তমানে লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাত ও জ¦ালানি খাতের ভয়াবহ সংকটের বিষয়ে আলোচনা হয। সভা মনে করে, সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থের জন্য পরিকল্পিতভাবে নিয়মনীতি বিসর্জন দিয়ে চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের সুযোগ প্রদানের ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে, ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় করার ফলে বর্তমানে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ইনডেমনিটি আইন তৈরি করে নজিরবিহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। বিশেষ আইনে স্থাপিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২-৩ বছরে বন্ধ হবার কথা থাকলেও প্রয়োজন ব্যতিরেকে তা এখনো চলমান আছে। বেশ কিছু সংখ্যক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ ছাড়াই ৩ বছর সরকারকে ৫৪ হাজার কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের পকেটে গেছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। গত এক যুগে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ গচ্ছা প্রায় ৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুতের চাহিদা সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেই চাহিদার অনেক বেশি পাওয়ার প্ল্যান্টের সাথে চুক্তি করে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীদের লুট করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রীয় দায় দেনা ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল থেকে আগামী ৩০ বছরে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে যা জনগণের পকেট কেটে করা হবে।
সরকার লোডশেডিং শূন্য কোঠায় নিয়ে আসায় উৎসব করেছে আতশবাজি পুড়িয়ে অন্যদিকে এখন শহরে ২-৩ ঘন্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিল্পে ও কৃষিতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।
জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সমস্যাকে জটিলতর করেছে। দেশে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি এবং নিজস্ব দলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিজেদের দুর্নীতি ও অনৈতিক সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। শুধুমাত্র লোভের কারণে আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত বক্তব্য প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির সামনে অতি শিগগিরই নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও অন্যান্য সকল মহানগর আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই এবং সকল জেলা পর্যায়ে আগামী ৩১ জুলাই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
৩। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধিতে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, শাক-সবজি ও মাছ-মাংসে ক্রমবর্ধমান মূল্যের বিষয়ে সরকারের অব্যবস্থাপনা ও সরকারের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য ৩২ শতাংশ এবং পাম ওয়েলের দাম ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত কমলেও সরকার সমর্থিত লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের দেশি বাজারে আগের মূল্যে বিক্রি অব্যাহত রাখায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। দ্রব্যমূল্য হ্রাসে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয় এবং ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ দাবি জানানো হয়।
৪। সভায় বিবিএস প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭৩৫৬ শতাংশে, যা নয় বছরে সর্বোচ্চ, আইএডপিআরআই এর হিসাব অনুযায়ী একেবারে নতুন করে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পতিত হচ্ছে। এটা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী শতকরা ৪২ ভাগের অতিরিক্ত। এই অনির্বাচিত সরকারের ভ্রান্ত অর্থনৈতিক নীতি যা শুধুমাত্র লুটপাটের অর্থনীতি তৈরি করছে, সরকার দলীয় এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ যদি আওয়ামী ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি করছে ও অন্যদিকে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তি এবং কৃষক, শ্রমিকেরা আরও দরিদ্র হচ্ছে। প্রকট আয়ের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই বৈষম্যের সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে সভা মনে করে। এর ফলে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।
৫। সভায় সম্প্রতি ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশের সবাই অপরাধী মন্তব্যে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালক নীরব থাকায় তীব্র সমালোচনা করা হয়। সভা মনে করে সীমান্তে গুলি করে হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ অপরাধী হলেও তার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করে সভা।
৬। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অপরাধে বরাবরের মতে ছাত্রলীগ অভিযুক্ত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের এই ধরনের ন্যক্কারজনক, অসামাজিক কার্যকলাপকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মদদ দেয়া হয় বলে এই ঘটনাগুলো ঘটছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে।
অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
৭। সভায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক ৪ জন গণতন্ত্র কর্মীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে গণতন্ত্রের সংগ্রামী মানুষকে মৃত্যুদন্ড প্রদান ও তা কার্যকর করা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন।