জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা জনগণের দৃষ্টি ফেরানোর অপচেষ্টা - রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১০ এএম, ১৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতারই অংশ ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ১/১১-এর জরুরি সরকারের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ সেই জরুরি সরকার ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকারের আন্দোলনের ফসল। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এই মামলাটি করা হয়েছিল, যেমনভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এরকম বেশ কয়েকটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা চলমান রয়েছে।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১/১১-এর জরুরি সরকারের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ সেই জরুরি সরকার ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকারের আন্দোলনের ফসল।
রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এই মামলাটি করা হয়েছিল, যেমনভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এরকম বেশ কয়েকটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা চলমান রয়েছে। মূলত জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতারই অংশ ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগসহ মহাদুর্নীতির তেলেসমাতি দেশ-বিদেশে সবার মুখে মুখে। এই মুহূর্তে মামলাটি মূলত জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা মাত্র। ডা. জোবাইদা রহমান একদিকে যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ অন্যদিকে তিনি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। সরকার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রেখেছে, অথচ এই মামলাটির কোনো সারবত্তা নেই। সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাহাদুরিতেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমান সরকারের ইঙ্গিতেই আইন-আদালত নিয়ন্ত্রিত হয়।
তিনি বলেন, জরুরি সরকারের সময় ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি বাতিলের জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল সেটি আদালত কর্তৃক খারিজ হওয়ায় তাতে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।
করোনা আ.লীগের জন্য ছিল ‘আনন্দবার্তা’ : করোনা ভাইরাস গোটা মানবজাতির জন্য ভীতির কারণ হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী গোষ্ঠীর কাছে ছিল ‘আনন্দবার্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের জন্য বিপদ আর আমাদের দেশের আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে মহোৎসব। তাই তারা রাজনীতি করছেন দুর্নীতির কাছে নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের জন্য। আর উন্নয়ন মানে তাদের পকেটের উন্নয়ন। গতকাল বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিছু ব্যবসায়ী এবং দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হরিলুটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়েছে তারা। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সেøøাগান ছিল- সোনার বাংলা শ্মশান কেন? আর এখন জনগণ বলে- “সোনার বাংলা নরক কেন ?” কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই শোষণ, লুন্ঠন, অবিচার, রাজনৈতিক হত্যা আর উৎপীড়নে দেশে ভয়াবহ কলঙ্ক রচনা করে। আপনারা জানেন, করোনা মহামারিতে যখন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে আর শত শত কোটি মানুষ ছিল মৃত্যু ভয়ে ভীত- সেই ভয়ানক পরিস্থিতিও নিশিরাতের সরকারের নেতা-মন্ত্রীদেরকে দুর্নীতি থেকে সরাতে পারেনি।
গতকাল মঙ্গলবার আপনারা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্ট দেখেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের ভ্যাকসিন ক্রয় ও ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গরমিল রয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন ক্রয় এবং ব্যবস্থাপনার নামে নিশিরাতের সরকার রাষ্ট্রের তথা জনগণের ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। প্রাক্কলিত ব্যয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রদত্ত হিসাবের অর্ধেকেরও কম। এছাড়াও ১০.১% নাগরিক টিকার জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে পছন্দ অনুযায়ী টিকা প্রদান করা হয়েছে এবং টিকা না নিয়েও টাকার বিনিময়ে প্রবাসীরা টিকা সনদ সংগ্রহ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের জন্য বিপদ আর আমাদের দেশের আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে মহোৎসবে মেতে ওঠা। তাই করোনা গোটা মানবজাতির জন্য ভীতির কারণ হলেও আওয়ামী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছে ছিল ‘আনন্দবার্তা’। তারা রাজনীতি করছেন দুর্নীতির কাছে নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের জন্য। আর উন্নয়ন মানে তাদের পকেটের উন্নয়ন।
তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি সেক্টরে পিলে চমকানো বড় বড় দুর্নীতির খবর বেরুলেও এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির বিচার হয়নি। বরং দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বাঁচানো এই সরকারের দুটি বিরল গুণ। এরা দুর্নীতিকে জায়েজ করতে জাতীয় সংসদে পর্যন্ত দায়মুক্তির আইন পাস করা হয়। ২০২১ সালের বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া, দুর্নীতির দায়মুক্তি এবং বিচারহীনতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। শুরু থেকেই করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতি আর অনিয়মের খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। কেবল টিকা নয়, গত দুই বছরে করোনা মহামারিকালের প্রাত্যহিক সংবাদপত্রের পাতা ঠাসা ছিল স্বাস্থ্যখাতের নিয়োগ, ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ ও সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগুনতি অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ কেলেংকারি ও অব্যবস্থাপনার সংবাদে। সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য একজন সাংবাদিককে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। নির্বিঘেœ নিরুপদ্রবে দুর্নীতির অভিপ্রায় চরিতার্থ করতে ২০২১ সালের ৮ জুলাই ঢাকার সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে কোভিড-১৯ রোগী ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক তথ্য গণমাধ্যমের কাছে আদান প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জাতীয় সংসদে একাধিকবার কোনো কোনো সংসদ সদস্য টিকার দাম জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ননডিসক্লোজার’ চুক্তির কারণে টিকার দাম প্রকাশ করা যাবে না। আবার তিনি টিকা নিয়ে একেক সময় একেকটা বিভ্রান্তিকর কথা বলে মানুষকে বেকুব বানানোর চেষ্টা করেছেন। গত ১০ মার্চ রাজধানীর জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে কিডনি দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার টিকা কেনা ও টিকাদান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া গত কয়েক মাসে একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, টিকা কেনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটা থেকে যে কেউ অনুমান করতে পারেন ২৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির আসল রহস্য। চরমভাবে ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ ও গণক্ষোভ তৈরি হলেও সরকার কেন তাকে স্বপদে বহাল রেখেছে তা টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে উন্মোচন হলো। দেশের জনগণ এই ২৩ হাজার কোটি টাকা কারা লুটপাট করলো তার হিসাব চায়। বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানির জন্য ওৎপেতে থাকা দুদককে বলবো তদন্ত করে ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসাব বের করুন। এ সমস্ত নজিরবিহীন দুর্নীতির হিসাব জনগণকে দিতেই হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, কেবল টিকা নয়, সুঁই কেনা থেকে শুরু করে কাঁথা বালিশ চাদর কিংবা হসপিটালের জানালার পর্দা কেনাকাটায় সরকারের লোকজন দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। সেখানে বিদেশ থেকে কঠিন শর্তে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা ঋণ এনে কথিত মেগা প্রকল্প করছে। এই প্রকল্পগুলো মূলত লুটপাটের খনি। দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ধার দেনা করে এনে নিশিরাতের সরকার দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে জনগণ ভয়াবহ উৎকন্ঠায়। বাংলাদেশে শ্রীলংকার পরিস্থিতির ন্যায় সকল উপাদানই বিদ্যমান। বর্তমানে একটি শিশু ৯৮ হাজার টাকা ঋণ মাথায় জন্ম গ্রহণ করে, এখন সেটি বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কারণ ইতিমধ্যে আরও ৬ বিলিয়ন ঋণ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডিও বলেছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বাংলাদেশকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ ২০২৩ সাল থেকে সকল ঋণ পরিশোধের কিস্তি শুরু হবে, তখন শ্রীলংকার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বাংলাদেশে। রেমিটেন্স নির্ভর অর্থনীতির ওপর ভর করে নিশিরাতের সরকারের নেতা মন্ত্রীরা প্রতিদিনই দাবি করে বলছেন, বাংলাদেশে কখনোই শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি হবে না। যারা পবিত্র রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যারা বেগুনের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি খাবার নির্দেশ দেয়, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং স্থানীয় সরপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম প্রধান পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি নিজেও ফেন্সিডিল খেয়েছেন, তার ছেলেরাও ফেনসিডিল খায়। সুতরাং দেশে ফেনসিডিল আমদানি করার জন্য নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা। এই হলো ‘টপ টু বটম’ আওয়ামী লীগ নেতানেত্রীদের অবস্থা। এই সমস্ত বক্তব্যে প্রমাণিত হয়-বাংলাদেশে এখন জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। সুতরাং এই আওয়ামী লীগের হাতে দেশ এবং জনগণ নিরাপদ কিনা এ প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যে দলের নেতারা রাজস্ব ব্যয় বাড়াতে ফেন্সিডিল আমদানির সুপারিশ করে, এই সরকারের লোকজনের কথা শুনলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হতে হয়। মনে হয় আমরা সত্যিকার রাক্ষস-খোক্কসের দেশে বাস করছি। বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ নিয়ে শেখ হাসিনা শত শত মেগাপ্রকল্প খুলেছে। সবগুলোই হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। বলা যায়-পুরো বাংলাদেশ এখন বিদেশিদের ঋণের জালে বন্দি। ফলে আমাদের সার্বভৌমত্বও বন্দি। এরপর মেগাদুনীতি, অর্থপাচার ও মূল্যস্ফীতিতে শ্রীলংকার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ। এটি রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। সরকার এখন শুধু চাপার জোরে টিকে আছে। যে কোনো সময় বায়বীয় অর্থনীতি ধসে পড়তে পারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে তিতিবিরক্ত, বিব্রত জনগণের সামনে প্রতিদিন ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদদের অর্থহীন কথাবার্তা জনগণের কাছে ‘মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি’র মতোই বিস্বাদ মনে হয়। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করার পর তার ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হিসেবে নিজ জেলায় পরিচিত। কিন্তু গ্রেফতারের পর শামসুল ইসলাম সাহেবকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা-যাওয়া করা হয়। এছাড়াও কারাগারে তাকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তার ওপর চালানো হয়েছে অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন। তার একমাত্র অপরাধ ছিল বিএনপির সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ এমনভাবে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়েছে যারা অরাজকতা, হিংসা, নির্যাতন ও হত্যায় আগ্রহী। আমি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামের ওপর পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। এছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, ভিপি জসিম, কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল্লাহ শিপন, সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল, মহানগর যুবদলের সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সহ-সভাপতি তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সালুর রহমান পাভেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক টিটু নাহা, জেলা যুবদলের সহ-কোষাধ্যক্ষ জুয়েল রানা আশরাফী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জুম্মন হোসেন সুমন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত হীরা এবং যুবদল নেতা বসির গতকাল আদালতে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় জামিন নিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।