মহিলা দলের সভায় শ্রমিক লীগের হামলা, স্বর্ণের চেইন-ফোন ছিনতাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৭ এএম, ১৫ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের কর্মীসভায় হামলা চালিয়েছেন শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১০ নারী আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচজনের স্মার্টফোন ও একজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা দলের নেত্রীরা।
আজ শুক্রবার সকালে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরশহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চুনারচর এলাকায় শুক্কুর বেপারী নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে এ কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাহেলা শারমিন মিমো অভিযোগ করে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্মিসভা শুরু হয়। সভায় উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের শতাধিক নেত্রী-কর্মী অংশ নেন। তিনি (সাহেলা শারমিন মিমো) প্রধান অতিথি ছিলেন। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সভাপতি আমির চৌকিদারের নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জন শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী লঠিসোটা, জিআই পাইপ ও রামদা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় বরিশাল মহানগর মহিলা দলের নেত্রী তাছলিমা আক্তার পলি, উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক বিলকিস আক্তার, উপজেলা মহিলা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাশেদা বেগম বিউটি, মহিলা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরজু বেগমসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।
হামলার সময় সাহেলা শারমিন মিমোর স্মার্টফোন, মহানগর মহিলা দলের তাছলিমা আক্তার পলির স্বর্ণের চেইন ও স্মার্টফোন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদা বেগম বিউটির স্মার্টফোনসহ আরও দুই নেত্রীর স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। এসময় কর্মিসভার চেয়ার-টেবিল ও শুক্কুর বেপারীর বাড়ির আসবাব ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় আহত কাউন্সিলর রাশেদা বেগম বিউটি বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘যে সময় ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, ওই সময় সেখানে আমি ছিলাম না। ঘটনার বিষয় আমি কিছু জানি না। শুধু শুধু মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা তার জানা নেই। কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।