১০ কোটি টাকা সম্পদের তথ্য গোপন : আ’লীগ নেতার নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ এএম, ৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ নেতা মোহন বগুড়া শহরের চকসুত্রপুর এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে।
মামলায় বলা হয়েছে, মঞ্জুরুল আলম মোহন ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। জমি ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ-ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ক্রয়সহ মোট চার কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং গণপরিবহন ১৩টি বাস, দুটি মোটরসাইকেল, শেয়ার ক্রয়, দোকানঘর লিজ, স্বর্ণ, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ডিপিএস ও চলতি হিসাব নম্বরের স্থিতিসহ মোট ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন সম্পদ বিবরণীতে। পরে দুদক কর্মকর্তারা তদন্তে নেমে আয়ের সঙ্গে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৮ টাকা মূল্যের সম্পদের অসঙ্গতি পান।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৯১-৯২ থেকে ২০১৯-২০ করবর্ষে ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন খাত থেকে মোহন আয় দেখান সাত কোটি ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা। একই সঙ্গে, দায়দেনা পাওয়া যায় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭০ টাকা। দায়দেনাসহ তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় আট কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২৮৬ টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহনের মোট ১৮ কোটি ৮ লাখ ৬২৩ টাকা থেকে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় আট কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২৮৬ টাকা। তার গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিয়ে দিলে থাকে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। অর্থাৎ এ তথ্য তিনি তার সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেছেন।
দুদকের আইনজীবী এসএম আবুল কালাম জানান, ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৫ টাকার তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৭ টাকা অর্জন করার অপরাধে দুটি ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।