শ্রীপুরে প্রকাশ্যে মরহুম বিএনপি নেতার স্ত্রীকে মার্কেটের সামনে মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ এএম, ২২ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সম্পত্তি, বিপনী বিতান(মার্কেটের) ভাড়া ও ব্যাংক লোনের কিস্তি পরিশোধ না করে, টাকা আত্বসাৎ করার প্রতিবাদ করায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে মারধোর করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা মাওনা চৌরাস্তার ইয়াকুব আলী মাষ্টার টাওয়ারে সামনে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলম উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার মরহুম ইয়াকুব আলী মাষ্টারের ছেলে। সে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইয়াকুব আলী মাষ্টার টাওয়ারের সত্তাধিকারি মরহুম শহিদুল্লাহ শহীদের বড় ভাই। শহিদুল্লাহ শহীদ মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী শাহিন সুলতানা সুইটির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত বছর মৃত্যুবরণ করেন।
এঘটনায় শাহীন সুলতানা সুইটি বাদী হয়ে শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী নারী শাহীন সুলতানা সুইটি প্রয়াত শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ্ শহিদের স্ত্রী।
শাহীন সুলতানা সুইটি বলেন, আমার স্বামী শহিদুল্লাহ শহিদের মৃত্যুর পর থেকে বড় ভাই শাহ আলম স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি হইতে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ইতিপূর্বে আমাকে বাড়ির সকল গেইটে তালা ঝুলিয়ে ৩দিন অবরোধ করে রেখেছিল। পরে পুলিশের সহায়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। এছাড়া সব সময় শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে।
আজ সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের সামনে গেলে অভিযুক্ত শাহ আলম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তখন প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি করে। এ সময় গাড়ির ড্রাইভার আমির হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ন্যায় বিচার চাইতে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী বলেন, আজকের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর কোন দোষ নেই। কোন কিছু বুঝার আগেই মারধর শুরু করেছে। আমরা মালিকের চাকুরী করি বলে প্রতিবাদ করতে পারিনি।
অভিযুক্ত শাহ আলমের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগ করে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এস.আই মনির হোসেন বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীকে উদ্ধার করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য পরার্মশ দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশের টের পেয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম পালিয়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।