১৫ আগস্টে জিয়া, ২১ আগস্টে বিএনপি জড়িত - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি সরাসরি জড়িত ছিল বলে দবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের বিশেষ সভার পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস আসলেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে খুনের রাজনীতির ধারাবাহিকতাই বিএনপির মূল চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতাই বিএনপির রাজনীতি। বঙ্গবন্ধু হত্যার দন্ডিত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকরের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের এত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নির্জলা মিথ্যাচার করছে। তারা সরকারের কার্যক্রম দেখে না। মানুষের পাশে না থেকে মিথ্যা কথার বাক্স নিয়ে বসেছে তারা।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই তাদের গাত্রদাহ আরও বাড়ে। আগস্ট মাস এলেই বিএনপি বিভিন্ন বিষয়ে ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়তে চায়। তারা এই মহামারির মধ্যেও জনগণের পাশ না দাঁড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। এজন্যই দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ইতিহাস অস্বীকার করতে চায়। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায়।
গণটিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের টিকা গ্রহণ করার পাশাপাশি সকলকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। করোনা টিকার ক্যাম্পেইন সফল করতে ও আগস্টের দলীয় নানা কর্মসূচি সমন্বয় করতে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারির এই সময়ে সরকার একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট সারাদেশে গণটিকা দেয়া হবে। দেশে টিকার অভাব নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বছরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেয়া হবে। কার্যক্রম সচল রাখতে টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করছে সরকার। গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। সবাই নিজেরা টিকা নেবে এবং টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য একটা ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী ও ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।