বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা সার্কাসের ক্লাউনের বক্তব্য - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৪ এএম, ২৫ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন সার্কাসের ক্লাউনরা বক্তব্য রাখছে বলে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকসমূহ দেখুন, প্রতিটি সূচকে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জনের ফলেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। এটা বাংলাদেশ সরকারের বানানো কোনও সূচক নয়, এটা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার তৈরি সূচক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতাকর্মী) আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস আর জনগণের সম্পদ ধ্বংসের রাজনীতি পরিত্যাগ করুন, তাহলেই বিনিয়োগকারীরা আরো উৎসাহী ও আস্থাশীল হবে। দেশ এবং বিদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করা হলে বিএনপি কষ্ট পায় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যখন করোনা অভিঘাত মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে, নতুন করে বেড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উন্নয়ন উৎপাদনে গতি হয়েছে মন্থর, এমন প্রতিকূলতার মাঝেও শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রেখে, অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ধরে রেখে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার মতো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে, তাই বলে সাদাকে সাদা বলা যাবে না এমনটি নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে করে বলেন, বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন সার্কাসের ক্লাউনরা বক্তব্য রাখছে। এই নেতিবাচক ধারা এবং সার্কাসের ক্লাউনের ভূমিকা পালন থেকে কবে ফিরে আসবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সভায় তিনি বলেন, নানান অনিন্ডয়তার দোলাচলে আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যেই ৪১টি স্প্যানের সবকটি সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯৩ দশমিক ৫০ ভাগ। নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৫০ ভাগ।