খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৬ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারী কেয়ার ইউনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসাধীন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠাতে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মরণে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবির কথা তুলে ধরেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জীবন-কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর এই অনুষ্ঠান হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মতোই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে কারাগারে আবদ্ধ হয়ে আছেন এবং তিনি অসুস্থ। আমরা তাঁর রোগমুক্তি শুধুই নয়, আমরা তাঁর কারামুক্তি দাবি করি। আমরা দাবি করি বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের মতো এবং বহু রাজনৈতিক নেতার মতোই তিনিও যেন তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সুযোগ পান। অন্যায়ভাবে এ ব্যাপারে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেটা যেন প্রত্যাহার করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর ৬ দিন পরে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাঁকে জরুরিভাবে করোনারী কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেদিন থেকে সেখানেই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাৎ’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তাঁর জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। করোনামুক্ত হন ৯ মে।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা দেশ এবং দেশের মানুষ যে দুর্বিষহ অবস্থায় জীবন-যাপন করছি, কোভিডের অসহায় শিকারে পরিণত হয়েছি আমরা এর অবসান চাই। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, মানুষ ও দেশের চলমান সংকট নিরসনের সমাধান একটাই। আর তা হলো জবাবদিহিতামূলক এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। আর তা শুধু সম্ভব একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন একটা জাতীয় সংসদের নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি এবং শপথ নিচ্ছি আমরা যে, শহীদ জিয়ার ঘোষণার মাধ্যমে যে লড়াইটা শুরু করেছিলাম সেই লড়াই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুদৃঢ় করা এবং জনগণের সব সংকট নিরসন করে তাদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ উপহার দেয়া এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটা মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য অর্জিত হবে।
জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (দফতরের চলতি দায়িত্বে) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাসাসের সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, লিয়াকত আলী, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, সহ-সভাপতি ও জাসাস ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মীর সানাউল হক, সহ-সভাপতি ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, ফেরদৌস ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইমলাম স্বপন, ইঞ্জিঃ মঞ্জু মিয়া, দফতর সম্পাদক শাহ মোঃ বিল্লাল হোসেন, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছামছুল হোসাইন, সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক বিলাল আহমদ চৌধুরী, আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক জুয়েল, আলোকচিত্র সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাদির (টাইগার সোহেল), জাসাস ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম দিপু, শফিকুল হাসান রতন, আব্দুল মালেক সাগর, আনোয়ার হোসেন আনুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পরে নজরুল ইসলাম খান জিয়াউর রহমানের আলোকচিত্র প্রদর্শনীস্থল ঘুরে দেখেন।