রাঙামাটিতে ছয় সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ-নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাঙামটিতে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এহেন হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন।
আজ মঙ্গলববার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনুর মেয়ে নাজনীন আনোয়ার গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। মামলায় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ফজলে এলাহী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক অনির্বাণ শাহরিয়ার, জাগো নিউজের রাঙামাটি প্রতিনিধি সাইফুল হাসান, দীপ্ত টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ, টিবিএসের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দিদারুল আলম ও বণিক বার্তার রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রান্ত রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও অনেককে বিবাদী করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলা প্রশাসনের ডিসি বাংলো পার্কে অবস্থিত ‘পাইরেটস্’ রেস্টুরেন্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে এর আগেও সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এই নাজনীন আনোয়ার। ওই মামলায় গত ৭ জুন সন্ধ্যায় ফজলে এলাহীকে গ্রেফতার করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ৮ জুন রাঙামাটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। এরপর ১৪ জুন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান। এবার ফজলে এলাহীসহ আরো পাঁচ সাংবাদিককে জড়িয়ে মামলা করলেন। যা কেবল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাম্ভিকতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এটিকে কালো আইন আখ্যায়িত করে এ আইনের অপব্যবহার এবং এটি যে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা-সেই আশঙ্কার কথাও বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার সেসব উপেক্ষা করেই কালো আইন প্রণয়ন করে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ আইন প্রয়োগ না করার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকরে উদ্যোগ নেই।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করেছেন।