‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধানবিরোধী’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৩ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বরাবরের মতোই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধানবিরোধী। সংবিধানে বলা আছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, কিন্তু মতপ্রকাশ করলেই এই আইন দিয়ে ধরাশায়ী করা হচ্ছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের চার যুগ পূর্তি উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, একটা দেশে যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতাই না থাকে, তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভালো নাকি মন্দ। মানুষ ঘরের বাইরে বের হলে ঘরের সবাই চিন্তায় থাকে কখন সে ফিরবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি না থাকে, এটাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হরণ। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা উদ্ধারে সব দল-মতকে এক হতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে চলছে সরকারের লোক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা। সরকারের লোকেরা ঘরবাড়ির মালিক হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ শুধুই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যারা শুধু সরকারের লোক, তারাই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। অথচ সব সরকারি সুবিধার ক্ষেত্রে অবহেলিত থাকছে সাধারণ জনগণ। এসব কথা বলতে গেলেই সাংবাদিকদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা চলতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের বাইরে নয়। বিজয়ের মাসে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। কিন্তু এখনো আমাদের আলোচনা করতে হয় গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের অধিকার উত্তরণ নিয়ে। এই ৫০ বছরেও আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি।
সেমিনারে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, কলামিস্ট ও লেখক ফরহাদ মজহার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহসহ সাংবাদিক নেতারা।