১১ দফা নির্দেশনা
আদালত ও ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৫৭ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতিপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় প্রধান বিচারপতি ফের ১১ দফা নির্দেশনা দিলেন।
আজ সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীর উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতিপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমাসমূহের নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল/ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি বা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এ বিষয়ে অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সকলকে কয়েকটি নির্দেশনা প্রদান করেন।
১. আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা; ২. আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা ৩. আদালত ভবনের বাইরে ও ভিতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়া। আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলো গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা এবং ভঙ্গুর দরজা ও জানালাগুলো নতুন করে স্থাপন করা ৪. আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা ৫. মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা ৬. আদালতে ব্যবহারের নির্মিত মানসম্মত ফার্নিচার/লকার নিশ্চিত করা; ৭. আদালত সীমানার চারদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা। ৮. জরুরিভিত্তিতে সারা দেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা। ৯. অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ১০. প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।