বসুন্ধরা গ্রুপ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৪ পিএম, ১৮ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।
আজ বুধবার পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ মামলা করেন তিনি। তাঁর পক্ষে এ মামলা রুজু করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরী ও তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এ মানহানি মামলা করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, banglanews24 এবং নিউজ ২৪-এ এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহআলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলী সান সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন ও রিয়াজ হায়দার, কালের কণ্ঠের এস এম রানা, মোহাম্মদ সেলিম, এবং বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহারকে। মামলার আর্জিতে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পুত্র সায়েম সোবহান আনভীর ব্যক্তিগত আক্রোশ ও শত্রুতামূলকভাবে বাদি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা, অনলাইন ও টিভিতে ১০০টির অধিক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানী করা হয়েছে। এ কারণে বাদির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে।একাধারে মিথ্যা মানহানীকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
শারুন চৌধুরী তাঁর ফেসবুক পেইজে লেখেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে তাদের বিবেক বাধা দিচ্ছে। কারণ তারা মালিকের নির্দেশের বাইরে কিছুই করতে পারেন না। কিন্তু এরকম সংঘবদ্ধ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প উপায় নেই।প্রেস কাউন্সিলেও তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন। মিডিয়া মালিকের ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত শত্রুতার উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রের ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।