সড়কে বাস ছাড়া সবই চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫১ এএম, ২৯ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। চলমান লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে আজ বুধবার রাজধানীতে বাস ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলছে।
আজ বুধবার সকালে ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, আসাদ গেট, সাতরাস্তা ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে মোড়ে মোড়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করতে দেখা যায়। পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও আগের মতো কড়াকাড়ি দেখা যায়নি।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, কিছু বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় অফিস টাইমে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যারা রিকশায় যাতায়াত করছেন, চেকপোস্টে তাদের তুলনামূলক কম আটকানো হচ্ছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যাও দেখা গেছে বেশি । অনেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মোড়ে মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী নিতে দেখা গেছে। অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। চলমান বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে গতকাল বুধবার যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছিল গাড়িতে সরগরম। সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, রিকশা, যাত্রীবাহী ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এতদিন ধরে চোখে না পড়লেও এখন এ মহাসড়কে দেখা মিলছে বাসেরও।
শনির আখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা চেকপোস্টগুলো সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি। রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে রাইডারদের মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী জাবেদ মিয়া।
তিনি বলেন, আমাদের পাইকারি মুদি দোকান। দোকান খোলা। প্রতিদিন অনেক কষ্ট করে এটুকু পথ যেতে হচ্ছে। ভ্যানে করে যাই, ৫০ টাকা ভাড়া নেয়। পথে পুলিশ আটকে দেয়ায় কয়েকবার নেমেও গেছি।
টিকা নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবেন সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, অটোরিকশায় সানারপাড় থেকে রায়েরবাগ পর্যন্ত আসছি। পুলিশের ভয়ে অটোরিকশা চালক আর সামনে যাবে না। তাই নেমে পড়েছি।
সারোয়ার হোসেন আরও বলেন, রাস্তার অবস্থা দেখেন, বাস ছাড়া সবই আছে। সবই যখন চলছে বাস চালু করলেই হয়, তাতে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমতো। একটা মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে দামদর করলাম, ২০০ টাকার নিচে ঢাকা মেডিকেলে যাবে না। দেখেন মাত্র এইটুকু পথ।
সরেজমিনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি বাসও চলতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা অফিসের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বাসগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।
বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।