তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই রাজনৈতিক, ভারতের ইশারায় করা
আবু ফাহাদ, দিনকাল
প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ৮ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিল বিভাগেও বাতিল করা হয়েছে।
ফলে মামলা ৪টি বাতিল বলেই গণ্য হবে। মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা হিসেবে গণ্য হলো।
ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা ৪ চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলাসহ কোন মামলাই এখন পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারে নাই।
এই মামলাগুলো কিভাবে মিথ্যা দিয়ে সাজানো হয়েছে তার বর্ণনা রয়েছে মহিউদ্দিন আহমদের "এক-এগারো" বইয়ে। তখনকার এই মামলাগুলো হয়েছিলো সরাসরি মঈন ইউ আহমেদের নির্দেশে।
এই মামলা সম্পর্কে তৎকালীন এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তা জনাব আলী বলেন, "উনার ( তারেক রহমান) বিরুদ্ধে কোন কিছুই পাওয়া যায় নাই। এমনকি নাই কোন এসেট। তারেক রহমানের নামে এদেশের ব্যাংকে কিছু পায় নাই।"
বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে তারেক রহমানে নামে এসব মামলা করানো হয়েছিলো এর প্রমাণও রয়েছে।
আল আমিন কন্সট্রাকশন থেকে তারেক রহমানের নামে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ যে মামলা করা হয় সেই মামলার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের মালিক আল আমিন ভূইয়া বলেন, তাকে দিয়ে জোর করে মামলা করানো হয়েছে ।
তিনি আরো জানান তিনি যদি নিজে উদ্যোগ নিয়ে মামলা করতেন তাহলে তো মামলা চালুই থাকতো।
তখনকার এনবিআর আর দুদক তারেক রহমানের নামে করা মিথ্যা মামলাগুলোর কোন প্রমাণই পায় না বা করতে পারে নাই।
স্বয়ং ওয়ান- ইলেভেন সরকারও এই মামলার প্রমাণ করতে পারে নাই।
হাসিনা সরকারও গত ১৭ বছরে এইসব মামলায় কোন অগ্রগতি আনতে পারে নাই।
এমনকি টংগী শিল্পাঞ্চলের চীনা কোম্পানি হারবিনে তারেক রহমান চাঁদা চেয়েছে এই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে।
অথচ হাসিনা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তারেক রহমানকে ফাঁসাতে।
গত ১৭ বছরে হাসিনা সরকার কোন মামলাই প্রমাণ বা তারেক রহমানের বিপক্ষে কোন প্রমাণই আদালতে উপস্থাপন করতে পারে নাই।
বেশিরভাগ মামলায়ই দেখা যায় বিবাদী এই সব ভূয়া মমলা চালাতেও চান নাই জন্য এসব মামলা রাষ্ট্র বনাম তারেক রহমান নামে দেখা যায়।
বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে ২১ কোটি চাঁদা নেয়ার যে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছিলো সেই সম্পর্কে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম নিজে স্বীকার করেন ডিজিএফআইয়ের সাজানো এই মামলা নিয়ে কথা বলা তার সব থেকে বড় ভুল এডিটোরিয়াল জাজমেন্ট ছিলো।
সেই সাথে উনি স্বীকার করেন ডিজিএফআইয়ের সাজানো এই মামলা প্রকাশ করাও ছিলো বড় ভুল এবং এই নিউজ দিয়েছিলোও স্বয়ং ডিজিএফআই।
খেয়াল করে দেখুন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা হয়েছে তার সবই ওয়ান-ইলেভেন সরকারের করা।
আর এই সরকার চালিয়েছেই ইন্ডিয়া।
এইসব মামলার নাই না কোন ভিত্তি, না আছে কোন প্রমাণ।
তারপরের হাসিনা সরকার এসব মামলাকে নিজ স্বার্থে জিইয়ে রেখেছে গত ১৭ বছর ধরে।
দিনের পর দিন মামলার রায়ের ডেট পিছিয়েছে, মিথ্যা প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারে নাই কখনোই।
প্রতিটা মামলার ক্ষেত্রেই একই ঘটনা। মিথ্যার বালির বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে আছে মামলাগুলো। তারপরও তারেক রহমান এসব মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য এই সরকারকে অনুরোধ করেন নাই।
তিনি চেয়েছেন মামলাগুলো আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হোক।
মিথ্যা এসব মামলার কারণে যে পরিমাণ নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করতে হয়ে তা বর্ণনা করা সম্ভব না। তাই এসব মামলার পেছনে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদেরও আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র জনতা।