কুষ্টিয়ার খোকসা হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎশিল্পের কদর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ২২ মে,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আমাদের চারপাশে বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করে। এদের মধ্যে মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত আছে একশ্রেনীর মানুষ, এদের কে কুমার বা পাল বলে। বিচিত্র জীবন ধারায় এরা জীবন ধারন করেন।
কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি করা হয় দৈনন্দন জীবনে ব্যাবহারযোগ্য মাটির বাসন কাশন, হাড়ী পাতিল মালসা ও কলসি সহ নানা বিধ আসবাব পত্র। দুষ্প্রাপ্য এ্যাটেল মাটি ,কাঠের খড়ি এবং ঘরে বাহিরে দু জনের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঐ কাদামাটি একসময় তৈরি হয় সুন্দর তৈজসপত্র।
আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় ব্যাবহারযোগ্য তৈজসপত্র। এতেই ক্ষান্ত নই নিজে বহন করে দূরের কোন বাজারে নিয়ে বিক্রয় করে। যা পায় তা দিয়ে জীবন ধারনের উপকরন সামগ্রী ক্রয় করে নিয়ে যায় বাড়িতে।
বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়ে বলে সহজে এদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। হিন্দু ধর্মের নিম্ন বংশের জাতি হিসাবে এদের আত্বমর্যাদা অনেকটাই কম দেওয়া হয়। কথা হচ্ছিল রতন পালের সাথে, তিনি বললেন ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সহ ৬ জনের সংসারে যা আয় করি তা দিয়ে বর্তমান বাজারে চলা খুবই কষ্ট।
ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহে যা আয় হয় তা আর কিছুই থাকে না। কি করার আছে। অন্য কোন উপায় পেলে এ পেশা ছেড়ে দিতাম। বাজারে মাল পত্র আনা -নেওয়ার জন্য একটি ভ্যান কিনেছিলাম মাঝেমধ্যে যাত্রী ভাড়া মারি বেশ টাকা আয় হয়। ভাবছি পেশাটা পরিবর্তন করবো। আমরা চায় আমাদের চারপাশের এ সব পেশার সকল পেশার মানুষ নিজ নিজ পেষাতে নিয়োজিত থাক।