বাংলাদেশের একমাত্র বিরল উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকওক লাউয়াছড়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশের একমাত্র বিরল উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকটক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম ক্লোরোফরা chlorophora spp এবং বাংলা নাম আফ্রিকান টিকওক।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ এর মধ্যে দুটি বিরল প্রজাতির আফ্রিকান টিকওক ছিলো, এর মধ্যে প্রায় ১৫ বছর পৃর্বে বড় আকৃতির আফ্রিকান টিকওকটি ঝড়ে পরে যায়, বর্তমানে উদ্যানের প্রধান প্রবেশ পথে জীবিত একটি আফ্রিকান টিকওক এখনো ঠিকে আছে, যা বাংলাদেশের একমাত্র বিরল উদ্ভিদ।
শত বছরের পুরনো বৃক্ষটি প্রায় কয়েকশত ফুট উপরে ডালপালা মেলে দাড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। বিরল উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকওক সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারনা করা হচ্ছে কোন ব্রিটিশ নাগরিক উদ্ভিদটিকে লাউয়াছড়া বনে রোপণ করেছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ভানুগাছ রির্জাব ফরেষ্টের ২৭৪০ হেক্টর সংরক্ষিত বনের ১২৫০ হেক্টরকে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়া বনটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ব্রিটিশ সময়ে লাউয়াছড়া প্রাকৃতিক বনের অধিকাংশ গাছ কেটে কৃত্রিম ভাবে চাপালিশ, সেগুন, গর্জন, লোহাকাট, রক্তন সহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রোপন করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে তখনকার সময়েই এই উদ্ভিদটি রোপণ করা হয়েছে।
উদ্যানের ইকো ট্যুরিষ্ট গাইড মোঃ ইউসুফ মিয়া জানান লাউয়াছড়া ভ্রমণে আসা আগত দর্শনার্থীদের বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকওক সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেই। আমরা ইকো ট্যুরিষ্ট গাইডরা গাছটি সম্পর্কে কোন বিশেষ প্রশিক্ষণ পাইনি, বন বিভাগের কাছ থেকে যা শিখেছি তাই পর্যটকদের বলি।
বিরল উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকওক সম্পর্কে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কান্তি মিত্র বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকান টিকওক প্রজাতির ২ টি গাছ ছিলো, একটি মারা গেছে বর্তমানে একটি জীবিত রয়েছে, যা দেশের একমাত্র বিরল উদ্ভিদ।
বন বিভাগের সিলভিকালচার টিচার্স বিভাগ সূত্রে জানা যায় গাছটি থেকে কোন বংশবিস্তার হচ্ছে না, কারন এই গাছের কোন বিচি নেই, ফুল ধরে আবার ঝড়ে পরে যায়, তবে কয়েক বছর পৃর্বে গাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করা হয়েছে।