চায়ের কাপে রংধনু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ৫ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চায়ের রাজধানী খ্যাত ও প্রাকৃতিক এক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলা। তাইতো প্রতি নিয়ত এখানে অনেক দেশি বিদেশি পর্যটক আসেন প্রকৃতির রুপ স্বচোঁখে দেখার জন্য।
প্রকৃতির রুপসজ্জা দেখার পাশাপাশি দেখতে আসেন চায়ের দেশের সাত কালারের চা। রহস্য জনক এই সাত কালারের চা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভাবনার বিষয়, কিভাবে একটি গ্লাসে সাতটা কালারের (রংঙের) চা, দেখতে অনেকটা আকাশের রংধনুর মত যা একটা আরেকটার সাথে মিশে না, কিভাবে বা তৈরি করা হয় এই রহস্য জনক চা। তাইতো অনেকে ছুটে আসেন পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার চায়ের দেশে।
এখানে আসা মানে সাত কালার (রংঙের) চায়ের সাতে পরিচিত হওয়া বা এক গ্লাস চা পান করা। আসুন এবার জানা যাক এই সাত কালার ( রংঙের) চায়ের রহস্য। সাত কালার চায়ের জনক রমেশ রাম গৌড় হলেও তার উদ্ভাবনকে সংযোজন করে এখন অনেকেই আজ সাত কালার চা তৈরি করতে পারেন । তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গৌরাঙ্গ বৈধ।
তিনি এই সাত কালার চা কে সংযোজন করে দিয়েছেন স্পষ্ট সাতটি লেয়ার, যা দেখতে অনেকটা আকাশের রংধনুর মত। তাই গৌরাঙ্গ বৈধকে বলা হয় আধুনিক সাত কালার চায়ের জনক। সাত কালার চা কিভাবে তৈরি করেন ? চা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা বলা যাবে না, কারন এটা বললেতো সবাই তৈরি করে ফেলবে, ফলে এই চায়ের আর জনপ্রিয়তা থাকবেনা। এক পর্যায় তিনি বলে ফেলেন যে এটা একটা ঘনত্ব। সাতটা রং বা সাতটি লেয়ার তৈরি করা হয় চা পাতা ও চিনি দিয়ে।
এটা তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক জিনিসপত্র সবুজ চা (গ্রীন টি), কালো চা (ব্লাক টি), লেবু, আদা এবং দুধ। বর্তমানে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সাত রংঙ্গের চা পাওয়া যায়। সঠিক সাত কালারের ( রংঙ্গের) চায়ের স্বাদ পাওয়া যায় কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ট্যুরিষ্ট সপ নামে পরিচিত হাতিম আলীর দোকানে। এখানে আসা মানে সাত কালারের (রংঙ্গের) চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া।
একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাসে স্পষ্ট সাত টি লেয়ার এক এক চুমুকে এক একটি লেয়ারের স্বাদ। সাত (৭) কালার চায়ের মূল্য ৭০ টাকা এবং পাঁচ (৫) কালার চায়ের মূল্য ৫০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কালার চায়ের মূল্য দশ (১০) টাকা, সর্বোচ্চ দশ (১০) কালার, সর্বনিম্ন পাঁচ (৫) কালার, তবে সাত কালার নামেই বেশি পরিচিত।
বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের অনেক স্থানে সাত কালারের (রংঙ্গের) চা বলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চায়ে সাতটি রং পাওয়া যায় না। এই সাতটি কালারের বা লেয়ারের চা গননা করলে দেখবেন একই রংঙ্গের চায়ের স্থর কয়েক জায়গায়।
কিভাবে আসবেনঃ ঢাকা,চট্রগ্রাম থেকে সিলেট গামি ট্রেনে বা বাস যোগে প্রথমে শ্রীমঙ্গল আসবেন তারপর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন, আসবেন কমলগঞ্জ রোডে ভানুগাছ বাস টার্মিনালে এখানে আসলেই সিএনজি, বাস, চান্দের গাড়ি দিয়ে লাউয়াছড়াতে নামলেই গাড়ি পার্কিং এলাকায় লেখা আছে সাত কালারের চা ও ট্যুরিস্ট শপ সেখানে গেলেই পাবেন সেই রহস্য জনক চায়ের সন্ধান।