পাওয়ার গ্রিডের আগুনে ব্যাপক ক্ষতি, বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন পুরো সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০১:২১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ১৩২/৩৩ কেভির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিট প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনে গ্রিডের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে এদিক-ওদিক পড়ে আছে। আগুনে তেল সরবরাহের ইউনিটসহ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিট পুড়ে গেছে। এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণে পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সহকারী পরিচালক কুবাদ আলী সরকার জাতীয় গ্রিডে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দমকল বাহিনীর জয়ন্ত কুমার নামের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেলা ১১টায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিট একযোগে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন আমরা মেশিনগুলো ঠান্ডা করার জন্য পানি দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ১৩২/৩৩ কেভির জাতীয় গ্রিড লাইনের বিদ্যুতের তিনটি ইউনিটে পুড়ে গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ওয়েল (তেল) সরবরাহ ইউনিটের। আগুন লাগার আগে বিকট শব্দ হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে তদন্তে আগুনের সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলি ফজলুল হক বলেন, আগুনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় তিনটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরহরাহ বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছি। তবে কত সময় লাগবে এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
আগুনে বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর পরিমাণ কত কোটি টাকা তা তদন্তের পরই বলা যাবে। কেন্দ্রটি মেরামতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আগুনের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীদের দিয়েই এ কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, যতদ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রকৌশলীদের একটি দল কাজ শুরু করেছে। তবে আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সবাইকে বিদ্যুতের জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে।