করোনা থেকে দ্রুত উত্তরণে উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৬ এএম, ২৭ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দ্রুত উত্তরণে উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আইএফআইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়দের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৭৭তম বার্ষিক অধিবেশনে আজ সোমবার ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনকে ইস্ক্যাপের প্রতি শেখ হাসিনার ৪ পরামর্শ হলো :
>> কোভিড মহামারি থেকে দ্রুত উত্তরণে উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আইএফআই’র এগিয়ে আসা উচিত।
>> যেকোনও সংকট থেকে ‘আরও ভালোভাবে উত্তরণের’ জন্য উন্নয়ন পদ্ধতি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক ও পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।
>> এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ও সর্বজনীন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দক্ষ নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা উচিত।
>> আমাদের বাণিজ্য, পরিবহন, শক্তি এবং আইসিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিরামবিহীন যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার।
অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রায় ২.৯৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে এবং প্রতিদিন আরও শত শত মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে। মহামারিটি অনেক মানুষকে দরিদ্র করে তুলেছে এবং অনেকে আবারও দারিদ্র্যের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক সুরক্ষা প্রশস্তকরণ, চাকরি ধরে রাখা এবং অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য বাংলাদেশে আমরা ১৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা আমাদের জিডিপি’র ৪.৪৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের সর্বশেষ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার এবং বাংলাদেশকে মসৃণ ও টেকসই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণের পথ নির্ধারণের কৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সমৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হিসেবে দেখছি। আমরা সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন, বিসিআইএম-ইসি এবং ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে উদ্যোগগুলোতে যুক্ত রয়েছি। ‘সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন’ অন্যান্য দেশের সাথে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়া রেলপথের বর্ধিত সংযোগ এবং ইস্ক্যাপের উদ্যোগের প্রবল সমর্থক। বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্য, এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি, পিপিপি নেটওয়ার্কিং এবং ইউএন-ইস্ক্যাপের অন্যান্য উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। আমরা নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কম্প্যাক্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের রাখছে। টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে একটি কার্যকর সমাধানের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এই বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করার আহ্বান জানাই।