আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২৯ এএম, ২৬ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী। হাজার বছরের শোষণ, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে সেদিন থেকে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিণতি। সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের গৌরব ও অহঙ্কারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন আজ।
আমাদের জাতীয় জীবনের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের মহান এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দমনের জন্যই পরিকল্পিতভবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এই বর্বর হামলায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, আরমানিটোলা ও পিলখানায় নির্মম গণহত্যা চালায়। অসহায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করায় বিপন্ন মানুষের আর্তচিৎকার সেদিন আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হলেও হানাদার বাহিনীর হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারেনি। মুহুর্মুহু গোলাবারুদের বিস্ফোরণে রাজধানী ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই কঠিনতম অবস্থায় জাতিকে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিয়েই ৭০’র নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন। দেনদরবার চলে সংসদ অধিবেশন ও ক্ষমতার।
হানাদারদের হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে জনগণ। এমনি এক অনিশ্চয়তা ও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে ৫৫,৫৯৮ বর্গমাইলের মানুষ যখন বাকরুদ্ধ, হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রতি মুহূর্তে মৃত্যর প্রহর গুনছে, জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচবে নাকি জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে-বুঝে উঠতে পারছে না। আশা দেবার, ভরসা দেবার, সান্ত¡Íনা দেবার যখন আর কেউ এগিয়ে আসছে না, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঠিক এমনি এক অমানিশার ঘোর অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলসে উঠলো প্রকৃতি ও মানুষ। বাতাসের প্রতিটি তরঙ্গে কান পেতে সবাই শুনলো -‘উই রিভোল্ট’ আমি মেজর জিয়া বলছি। হানাদারদের প্রতিরোধের মশাল জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামের ষোল শহরের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের প্রাণপ্রিয় নেতার ডাকে। একমাত্র আল্লাহকে ভরসা করে এবং নিজের ও সহকর্মীদের জীবনকে বাজি রেখে সমগ্র ব্যাটালিয়নের কর্তৃত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ জিয়া জানিয়ে দিলেন যে, তারা এই মুহূর্ত থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন এবং স্বদেশকে স্বাধীন করার জন্যে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন। এই ঘোষণার মুহূর্তটি ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। ২৬ মার্চ সেই ঘোর অমানিশার মধ্যে, অত্যন্ত আকস্মিকভাবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো উদয় হলেন জিয়াউর রহমান, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহযোগিতায় তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ করলেন। এই ঘোষণাই স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা।
চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি দেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেশন আর্মির কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন.....আমি মেজর জিয়া প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেশন আর্মির কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। তিনি এ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান।
জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে অবনতচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। পাশাপাশি গোটা দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসবের আমেজে। কিন্তু এবারে এমন এক অস্বাভাবিক পটভূমিতে আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এসেছে যখন ফ্যাসিবাদী এক শক্তি ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনের পর দেশে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাইকারী গ্রেফতার অবাধে চলছে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অপশাসন, উৎপীড়নে আজ সকল সুবচন নির্বাসিত। ভোটাধিকারসহ প্রায় সকল সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হারিয়েছেন দেশবাসী। ৫ জানুয়ারি কলঙ্কিত নির্বাচনের পর থেকেই দেশে চলছে একদলীয় শাসন। স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি মহাসচিব পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। আজ সরকারি ছুটি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাণী :
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল সোনালী দিন। লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয়মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় লাভ করেছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন, স্বাধীনতা যা সংগ্রাম আর যুদ্ধের রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মাতৃভূমি। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয়মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতি মুক্তিলাভ করে। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার হোঁচট খেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াই বারবার অবিচল আপোসহীন আন্দোলনে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাহীর লোহার খাঁচা থেকে অর্গলমুক্ত করেছিলেন। জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা বেগবান করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে। আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি আমি এ আহবান জানাই। আজ অত্যন্ত জরুরি আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে। এই ভাইরাস সংক্রমণকে বাধা দিতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমি দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে এই রোগের যাতে আর বিস্তার না ঘটে সেজন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের নিকট মোনাজাত করতে অনুরোধ করছি। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
বিএনপি মহাসচিবের বাণী :
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এ বছর আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি। সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে-যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যারা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোসহীন নেত্রী বেগম জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্য নানা কালাকানুন তৈরি করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। অপহৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। সারাবিশ^ আজ ভয়াবহ মহামারির কবলে। করোনাভাইরাসের মহামারি পৃথিবীর নানা জাতির মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বিশ^ময় হাড়-হীম করা আতঙ্কে মানুষ জীবন যাপন করছে। করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ বাংলাদেশকে আক্রমণ করেছে। প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার রোধে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইতে হবে। আল্লাহ্ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।
বিএনপির কর্মসূচি : দেশে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং ইতিপূর্বে ঘোষিত কর্মসূচিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজ শুক্রবার বিএনপির কর্মসূচি :
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা : দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৮-৩০ মিনিট : সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্যবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বেলা ১১-৩০ মিনিট : বিএনপির পক্ষ থেকে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বেলা ৩-০০ মিনিট : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। প্রধান অতিথি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতি-জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আলোচক-জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসহ সকল ইউনিটে স্ব স্ব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, স্থানীয় স্মৃতিসৌধে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভার্চুয়াল আলোচনায় সংযুক্ত থাকবেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ ভাষানীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল সোনালী দিন। লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, মহাসচিব সাহিদুন্নবী খান, সদস্য কাজী এমরান হোসেন, সুধন মন্ডল, যুবনেতা আব্দুল্লা আল কাওসারী, ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।