বিগত তিন নির্বাচনে কমিশনাররা শপথ ভঙ্গ করেছেন : বদিউল আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৫৩ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিগত তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনাররা সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কীভাবে সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা যায় সে উদ্দেশ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব অনুযায়ী সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে আমরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেব।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে এটি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচনী অপরাধের সুযোগ বন্ধ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অসংগতি থাকলে সেগুলোর পরিবর্তন করা আবশ্যক।
বদিউল আলম বলেন, বিদ্যমান ভোটার তালিকায় কিছু অসংগতি রয়েছে। জনসংখ্যার বিবেচনায় ভোটার তালিকায় নারী ভোটারের সংখ্যা কমে গেছে। তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন ব্যাহত হবে। ভোটার তালিকা সংশোধন, জনগণের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, নির্বাচনী আচরণবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে সবার পরামর্শ ও মতামত জানা একান্তভাবে দরকার।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন, সদস্য সাদিক আরমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, আইন বিভাগ (লেজিসলেটিভ) ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, নারী প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, রাজনীতিবিদ, জেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।