সরকার নিজেদের সুবিধামতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি করছে-ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৬ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৪ এএম, ১৫ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকার নিজেদের সুবিধামতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ শুক্রবার বিকালে দলের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভায় কমিটির আহবায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় আছে তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তারা তাদের ইচ্ছামতো লেখার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তারা নিজেরা নিজেদের সুবিধা মতো তৈরি করার চেষ্টা করছে। আজকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের যে মূল ইতিহাস তা বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এই পঞ্চাশ বছরে মুক্তিযুদ্ধের যে আকাক্সক্ষা এবং স্বাধীনতার আমাদের যে প্রত্যাশা কি ছিল সেই ক্ষেত্রগুলোতে কারা কী অবদান রেখেছে, কারা কি ক্ষতি করেছে সেটা সম্পর্কেও বর্তমান প্রজন্মকে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই যে, মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাক্সক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক সরকার, গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আজকে গণতন্ত্র দেশে নেই। এখন শুধু নয়, স্বাধীনতার পর ’৭৫ সালে এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল। এটা কখনোই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আকাক্সক্ষা ছিল না।
আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জতের বিনিময়ে, আমাদের রক্তের বিনিময়ে, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি সেই দেশ ৫০ বছর যাবত এখানে যে একটি প্রত্যাশা ছিল একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, শোষণমুক্ত একটা অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং আমাদের সম্পদের সুষম বন্টন এসব ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যে, বাংলাদেশে বারবার গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হয়েছে, লুটেরা অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সামাজিক অবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ন্যায়-অন্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের কাছে এসব বিষয় তুলে ধরার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সত্যিকার অর্থে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমাদের সে জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সারা বছরজুড়ে করতে একটি ক্যালেন্ডার আমরা তৈরি করবো। এর খসড়া আমরা করেছি।
বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালনে সব উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ। দেশের বাইরে প্রবাসেও দিবসটি পালনে অঞ্চলভিত্তিক কমিটি গঠন করার কথাও জানান তিনি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটি বিভিন্ন সমন্বয় কমিটিকে নিয়ে এই যৌথ বৈঠক হয়।
জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বৈঠকে বিএনপির মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল্লাহ-আল নোমান, শাহজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, বিজন কান্তি সরকার, আব্দুল হাই শিকদার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হাসান জীবন, শামা ওবায়েদ, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আমিনুল হক, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শরীফুল আলম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুল ইসলাম আলিম, রিয়াজ উদ্দিন নসু, আরিফুল হক, জহির উদ্দিন স্বপন ও এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।