চিকিৎসাসেবায় কিছু ঘাটতি রয়ে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হাসাপাতালের চিকিৎসায় আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অনেক হাসপাতালে রোগী বেশি হওয়ার কারণে ডাক্তারদের কাজের চাপ বেশি থাকে। যেখানে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা, সেখানে যদি দশ জন বা আটজন ডাক্তার থাকে, তাহলে চাপ তো বাড়বেই। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালিক বলেন, হাসপাতালে একজন পরিচালক। টয়লেট যদি অপরিষ্কার থাকে, হাসপাতাল যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে, হাসপাতালে যদি পানি না থাকে, তাহলে সেই পরিচালকের কাজ কি, তিনি কি করেন? হাসপাতালের যন্ত্রপাতি যদি ফাংশনাল না থাকে তাহলে তার কাজটা কি? বেশিরভাগ রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন বাইরে বেসরকারিভাবে করে?
স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার সম্মিলিত ইচ্ছা থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো ভালো করতে পারি আমরা। এ পরিবর্তন আমাদের করতে হবে। অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করবে না। ডাক্তাররা যেন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে থাকে সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা পর্যায়ক্রমে সেটা করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
রোগীদের হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রোগীরাও যেন হাসপাতালে এসে ভালো পরিবেশ এবং চিকিৎসা পায়। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এসে কেউ যদি দেখে ডাক্তার নাই, তাহলে তার অনুভূতিটা কেমন হবে? পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা এক্সরে করতে গিয়ে যদি দেখে মেশিন খারাপ, তাহলে কেমন হয়? এ বিষয়গুলো যেন না ঘটে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা হাসপাতাল তৈরি করেছি মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। মানুষ চিকিৎসা পেলে আমাদের চাকরি থাকবে। জনগণের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে আগামীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরো ভালো হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার টিটো মিয়া।