ডিবিপ্রধান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ২২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলা গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন। আবেদনে যাদের আসামি করা হয়- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য। মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০-১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচতলার তালা ভাঙচুর চালান। এ সময় তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভেঙে ফেলেন এবং ম্যুরালটির বাম চোখের অংশ লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে চোখে পরিহিত কালো সানগ্লাসটি ভেঙে ফেলেন। পরে আসামিরা দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করেন এবং দ্বিতীয় তলার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমেই ডান দিকে থাকা বিএনপির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের কক্ষে টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলেন এবং একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেন, যার মূল্য এক লাখ টাকা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলেন এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতিসাধন করেন। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয়তলার উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান পাশের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে একটি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটার চুরি করেন। যেগুলোর মূল্য ৯০ হাজার টাকা।