যানবাহন ভাঙচুর করতে রাস্তায় সমাবেশ করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সড়ক, মহাসড়কে সমাবেশ করে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ঢাকাতে অনেক মাঠ থাকার পরেও বিএনপি সড়কে সমাবেশের আয়োজন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়কে সমাবেশ করলে সহজে যানবাহন ভাঙচুর করতে পারবে। কারণ দলটি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশ করতে চায় বেশ ভালো কথা। কিন্তু সমাবেশ করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে দেয়া উচিত না। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্ধের দিনে খোলা মাঠে সমাবেশ করতে বলেন। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করতে যাচ্ছে প্রধান সড়কে। প্রধান সড়কে সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবে। ঢাকাতে তো অনেক মাঠ রয়েছে। মাঠ বাদ দিয়ে কেনো তারা মহাসড়কে সমাবেশ করতে চায় সেটা আমার বোধগম্য নয়। হয়তো বিএনপি মাঠ বাদ দিয়ে সড়কে সমাবেশ করে সুবিধামতো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশ আমরাও করি। তবে সড়কে না সমাবেশ মাঠে করি। কিন্তু তারপরেও গণমাধ্যম তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওইদিন জাতীয় মানবাধিকার দিবস। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই তাদের জন্ম হয়েছে। হাজারও সেনাকে হত্যা করেছে। আমাদের দলের অনেক নেতাকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমানের সেই পথেই হাঁটছে বেগম খালেদা জিয়া। তিনি জিয়ার থেকে কম নন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়। ২০১৩/১৪ সালে জ্বালাও পোড়াও করেছে। মানুষ হত্যা করেছে। এসব চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ সময় দেশের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বন্ধুপ্রতিম দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে নানাভাবে অর্থনীতিতে সহায়তা দিয়ে আসছে জাপান। বাংলাদেশের অন্যতম অবকাঠামো উন্নয়ন সহযোগীও জাপান। কূটনীতিকরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার সময় অবশ্যই শিষ্টাচার বজায় রেখে বলা উচিত। অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ কি? তাদেরকে আমাদের সম্পর্কে কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়।