সংশোধন হচ্ছে ভোক্তা অধিকার আইন, দ্বিগুণ হবে জরিমানা : ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এ যেসব অপরাধে জরিমানার বিধান রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, নতুন আইনে শাস্তির আওতা বাড়ছে না। শাস্তি যথেষ্ট নয়, সেজন্য আরও অনেক আইন আছে। তবে জরিমানার পরিমাণগুলো দ্বিগুণ করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। তারপরও প্রতিদিন সারাদেশে ৪০ থেকে ৫০টি অপারেশন হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজার এতটা বিস্তৃত, এর ১০ গুণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রসাধনীর ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টা ভয়াবহ। কেননা বৈধভাবে এ ব্যবসায় ব্যবসায়ীদের অনীহা আছে। সঠিক পরিমাণে ভ্যাট দিয়ে, অন্যান্য সব ঠিক রেখে বৈধভাবে ব্যবসা করে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলছেন অনেকে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরেও কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করা হচ্ছে। রেস্তোরাঁর খাবারের মান ও দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য বলতে যা বোঝায়, তা কোনো রেস্টুরেন্টই সার্ফ করে না। কোনো সুরক্ষার মানদন্ডই তারা মানে না। কোনো না কোনো সমস্যা তাদের আছেই। মহাপরিচালক বলেন, অনেকেই চান ভোক্তা অধিদফতর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কিন্তু আমরা এখনো সেভাবে প্রস্তুত না। প্রশাসনিক আইন জুডিশিয়াল আইন নয়। আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অফিসাররা মাজিস্ট্রেট নন, তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। তারা শুধু এ আইনে জরিমানা করতে পারেন। মামলা করতে পারেন বাদী হয়ে। নিজে শাস্তি দিতে পারেন না। সেমিনারে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সবাই দিনশেষে ভোক্তা। বাজারে পণ্য কিনতে গেলে আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আইনে কী আছে, সেটা জানতে হবে।
তিনি বলেন, ভোক্তা আইনটি এখন সংস্কার প্রয়োজন। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তবে এ সংস্থা এখন ভালো কাজ করছে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো দল দেখে না। প্রতিষ্ঠানের মালিক কে সে খোঁজ নেয় না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিকরাও একসঙ্গে একই কাজ করেন।
তিনি বলেন, ভোক্তাকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতারিত হলে অভিযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদেরও এ আইনে প্রচার করতে হবে, যেন মানুষ প্রতারণার প্রতিকার পায়।