বিএনপি আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না।’
আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর)সংসদ ভবন এলাকায় নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কয়েকটি সমাবেশ করলেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যাঁরা ভাবেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোনো দল নয়। এ দেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রথিত আওয়ামী লীগের শেকড়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়, এ কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না—তা একমাত্র আল্লাহ এবং দেশের জনগণই জানেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোনো বিষয় নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণ কখনো কাউকে বিমুখ করে না। আর সে জন্য আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে।
বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল হিসেবে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই।
বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যে কাজই করুক, বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও যা নেই, তা নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে?
সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো, জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।
কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, যদি পদত্যাগ করতেই হয়, তাহলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে?
দলের সম্মেলন না করে বহু বছর ধরে মির্জা ফখরুল মহাসচিব পদে জেঁকে বসে আছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে, ফখরুল সাহেবের হয়তো তা–ও জানা নেই।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব যে দাবি জানিয়েছেন, সে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন। দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগা প্রকল্প হয়েছে এবং এ দেশে যোগাযোগব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ কথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে।
কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানার ভান করছে।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি, সত্যকে স্বীকার করার সৎসাহস আমাদের আছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।’