বিরোধীদের কথায় হতাশ না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে মানিয়ে নিন : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ২৩ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৪ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ভোগের জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের সেবাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিরোধীদের কথায় হতাশ না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে মানিয়ে চলতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাশ্রয়ী-মিতব্যয়ী হতে হবে, গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক কথাই হবে৷ সমালোচনা করাই বিরোধী দলের কাজ৷ কিন্তু আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের৷ কে কী বললো, সেটিতে নজর দিয়ে হতাশ বা বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই৷ পরিস্থিতি বুঝে মানিয়ে নিতে হবে৷’
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন পদক-২০২২ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ১০ ক্যাটাগরিতে সাতটি দলীয় এবং তিনটি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মোট ৩১ জন কর্মকর্তা পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গঠনের সুযোগ পেয়ে বাবার মতো আমিও ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমরা জনগণের সেবক। জনগণের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম, দেশের মানুষকে দিতে পারলাম, সেটাই বিবেচ্য বিষয়। ’
যেটুকু সম্পদ আছে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘করোনা আসলো, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মধ্যে আমেরিকা দিল স্যাংকশন। এর কারণে আমাদের জ্বালানি, সার, খাদ্য নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এর কারণে অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর কারণে জ্বালানির দাম বেড়েছে। উন্নত দেশগুলোতেও মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। তারপরও আমরা মনে করি, প্রশাসনিক দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলেই আমরা এর মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সমালোচনা হবে, টকশোতে পত্রিকায় কথা বলবে। বিরোধীরা বলবে। বলুক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আমরা সঠিক কাজ করছি কি না। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের কথায় যদি কোনো বাস্তবতা থাকে তা বিবেচনায় নেবো। কিন্তু তাদের কথায় হতাশ হওয়া যাবে না। ’
‘অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব বাদ দিয়ে জনগণের খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা সেটা করছেন। সে জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। তাদের জীবনমান উন্নয়ন আমাদের সকলের দায়িত্ব’, বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এ সময় প্রশাসনের কর্মচারিদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, একটা রাষ্ট্রকে যদি উন্নত করতে হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য স্থির করতে হয়। একটা দিকনির্দেশনা থাকতে হয়। দর্শন থাকতে হয় এবং তার জন্য একটা কর্মপন্থা প্রণয়ন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করতে হয়।