ডিজিটাল বাংলাদেশ না গড়ে উঠলে দেশ এখনো অন্ধকারেই থাকতো : বগুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ১৯ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ডিজিটাল বাংলাদেশ না গড়ে উঠলে দেশ এখনো অন্ধকারেই থাকতো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা পুলিশ আয়োজিত সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ না গড়ে উঠলে দেশ এখনো অন্ধকারেই থাকতো। এই দেশের মানুষ বিশ্বার ও আস্থায় জায়গায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আগামী নির্বাচনে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের শতকরা ৬৫ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম যাদের মাঝে অন্যতম আমাদের যুব সমাজ। কিন্তু মাদকের আগ্রাসনে এই যুব সমাজ যদি পথ হারিয়ে ফেলে তাহলে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে ‘
‘বর্তমানে বাংলাদেশে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে মাদক এখনো প্রবেশ করছে; যা কঠোর হস্তে বন্ধে সরকারের পক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের সাথে কথা বলে সীমান্তে থাকা বিভিন্ন ফেন্সিডিলের কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং সমাজের সকলের সমন্বয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুন্দর একটি অবস্থান তৈরিতে কাজ চলমান রয়েছে।’
‘তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ শুধু সরকারের একার পক্ষে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সেজন্যে সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যুব সমাজের মাঝে মাদকের আগ্রাসন রুখতে সন্তানদের সাথে অভিভাবকের বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।’
বর্তমান সরকার মাদক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে যার একটি দৃষ্টান্ত বগুড়াতে হলো প্রায় ৬৫ জন মাদকব্যবসায়ীকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে, যোগ করেন আসাদুজ্জামান খাঁন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮০ লক্ষ মানুষ নেশাগ্রস্থ। আর নেশা থেকে মুক্তিতে লজ্জা না করে সময় থাকতেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যতদিন বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা জীবিত থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ আলোকিত থাকবে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘এক হাজার নয় দুই হাজার নয় প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। যার দরুণ দেশরত্ন শেখ হাসিনা পেয়েছেন মাদার অফ হিউম্যানিটির স্বীকৃতি।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের সবকিছু হারিয়ে এসেছে যাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার যে চ্যালেঞ্জ সেটিও মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ সরকার।’
দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশের যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন। বক্তব্য রাখেন বগুড়া ১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, বগুড়া ৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, ৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে (নারী-পুরুষ) ভ্যান ও সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
এ আগে সকালে বগুড়ার একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।