ঢাবিতে দেয়া স্লোগান প্রমাণ করে বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনে জড়িত : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এ স্লোগান দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত- এমন কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু তৈরির পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল এ জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত এর আগে গত মাসে ২৬ মে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন হাইকোর্টের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এবং কার্জন হলের সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা যায়।
এর আগে ২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদল-ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হন দুপক্ষের অন্তত ৩০ জন। ছাত্রদল অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। আর ছাত্রলীগ বলেছে, বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করেন।