নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটে ইজারাদারেরা লুটপাট চালাচ্ছে : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ এএম, ২৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সবকটি নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে এবং খেয়া পারাপারের ৪ শতাধিক ঘাট পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদারেরা চুক্তির শর্ত লংঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এমন অতিরিক্ত টোল আদায়ের বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০/৩০/৫০/১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর নিয়োজিত ইজারাদার। অথচ এই ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এহেন লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডাব্লিউটিএ ইজারাকৃত সারাদেশের ৪ শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নৌপথে যাত্রী হয়রানি ও টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দেয়ার পরও এমন নৈরাজ্য বন্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদারেরা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেয়ার ফলে যাত্রীদের অনেককেই তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে হচ্ছে। যাত্রীরা দাবি করেছেন তাদের অনেকের দামি মালামালও নদীর পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এমনকি মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। এতে করে অসহায় যাত্রী সাধারণকে সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।