আইভীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমি একজন মন্ত্রী এবং আরেকজন রিক্সাওয়ালা। দিনের শেষে সকলেই এদেশের নাগরিক। সুতরাং দেশের উন্নয়ন হলে আমরা সকলে লাভবান হবো। আমি বিশ্বাস করি আইভীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এখানে কাউন্সিলররাও ব্যাপক জনপ্রিয়। আমরা ভাল কাজ করলে পরকালে আমরা এর জন্য শান্তি পাবো। আল্লাহর সকল নির্দেশনা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আমরা সকলেই ভাল থাকতে পারব।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে সকলের যোগাযোগ থাকে। এই যোগাযোগের মাধ্যমে তারা সকলের সাথে সহায়তা করতে পারেন আয় বর্ধনে। এই আয় বর্ধন সরকার এবং স্থানীয় সরকারকে সহায়তা করতে পারে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার যদি আমরা দেখি, তখন কিন্তু সেখানে কিছু ছিল না। কোন সম্পদ ছিল না। সেখানে বিচ্ছিন্ন পশুর মত মানুষ বসবাস করত। সেখান থেকে তারা সমৃদ্ধ হয়েছে। আজ আমেরিকা পৃথিবীর শীর্ষ একটি দেশ। আমরা যদি আমাদের প্রোডাক্টিভ করতে পারি তাহলে আমরা আরও সমৃদ্ধ হতে পারি।
তিনি আরও বলেন, এটা নাতিশীতোষ্ণ দেশ। ব্রিটিশরা যখনই এ জায়গা দখল করেছে সকলে এখানে থেকে যেতে চেয়েছে। কারণ এখানে গরম, শীত কোনটাই তীব্র নয় এবং এখানকার মাটি উর্বর। এ দেশটাকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে না পারার কোন কারণ নেই এটা বঙ্গবন্ধু বুঝতেন। তিনি ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং স্বাধীনতা আনলেন। তখন তিনি বলেছিলেন আমার মাটি আছে মানুষ আছে আমি সোনার বাংলাদেশ করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সকল পলিসি নিয়েছিলেন তিনি থাকলে ২০০০ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হয়ে যেতাম। সারা পৃথিবীতে বলা হয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। তারা আয় রোজগারের ব্যবস্থা করবেন এবং সেখান থেকে একটা অংশ নিয়ে তারা তাদের এলাকায় উন্নয়ন করবেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ব্যবসা, শিল্প, সাহিত্য সকল ক্ষেত্রে অত্যান্ত উর্বব ভূমি। আইভীর মধ্যে অনেক মেধা, বুদ্ধি সততা রয়েছে। একটা মানুষ যখন বুঝবে আমি যদি ৫০০০ টাকা দিলে পাঁচ লক্ষ টাকার সার্ভিস পাই, তখন তারা দিতে না করবেন না। আমাদের মেয়র একমত হবেন, করোনাকালে বলেছিলাম প্রতি ওয়ার্ড ১০ ভাগে ভাগ করে কমিটি দিয়ে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সেবা দিবেন। এটা যে কোন বিষয়ের সমস্যা সমাধান করা হোক। এতে জীবনকে উপভোগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটা বাজারে সিকিউরিটি গার্ড রাখে ১০ হাজার টাকা বেতন দেয়। আপনি গিয়ে বলেন নিরাপত্তা আমি দেব, সেখানে পঞ্চাশজন লোক থাকলে দেখবেন সকলের থেকে টাকা নিয়ে সেবাটা দিতে পারবেন। তখন সে দেখবে ১০ হাজার টাকার কাজ ৫শ টাকা দিয়ে করে দিলেন। তখন সে আপনার সমর্থন করবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন করলেন, ময়লা অপসারন করলেন এবং সেখানে যদি কিছু টাকা নেন তখন দেখবেন রাজস্ব আসছে। এছাড়াও তখন আর আপনাদের ভোট চাইতে যেতে হবে না। কারন তখন আপনি প্রতিদিনই ভোট চাইবেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন পৌরসভার বেতন পৌরসভা দেবে সরকার দেবে না। তখন পাঁচ মেয়র বিদেশে যেতে চেয়ে ফাইল দিল। তখন জানতে চাইলাম কর্মীদের বেতন দেয়া হয়েছে কিনা। তখন জানলাম এক পৌরসভায় দেয়া হয়েছে। তখন শুধু ওই এক মেয়রকেই আমি অনুমতি দিয়েছি। এতে সকলের কাছে মেসেজ গেছে। আজ সকল পৌরসভা নিজেদের বেতন নিজেরা দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাস্তার টাকা অনেক সময় ওভার ল্যাপিং হয়। আমি বলেছি আইডি নাম্বার ছাড়া কোন টাকা দেয়া হবে না। এতে ওভার ল্যাপিং বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আমি বললাম প্রতিদিন পাঁচটি রাস্তার আইডি নাম্বার দেন। আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। এতে অনিয়ম বন্ধ হবে। নিয়মের মধ্যে রুজি রোজগার করেন তাহলে সকলে ভাল থাকবে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন হবে।